রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৭ ১৪৩২   ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১২২

৪ শতাংশে ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ পাবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক  

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২  

ব্যাংকের পর এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলো। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, তিনবারে ১৬ বছর মেয়াদি ঋণ পুনঃতফসিল বা পুর্নগঠনের সুবিধা রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে মাত্র ৪ শতাংশ ডাউনপেমেন্টে ঋণ নবায়নের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।

রোববার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ ‘ঋণ পুনঃতফসিলে’ এ নীতিমালা জারি করে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠিয়েছে।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যদি কোনো গ্রাহক তিনবার ঋণ পুনঃতফসিল করে থাকেন তবে তাকে বিশেষ বিবেচনায় আরও একবার সুযোগ দেওয়া যাবে। চতুর্থ দফা পুনঃতফসিলের পরও গ্রাহক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে স্বভাবজাত বা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে তিনি বিবেচিত হবেন। তার বিরুদ্ধে আইনি (মামলা দায়ের) ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এর আগের মাস্টার সার্কুলারে চতুর্থবার ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ ছিল না। কিন্তু প্রস্তাবিত মাস্টার সার্কুলারে চতুর্থবার ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ রাখা হয়েছে।

আগের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, কোনো ঋণ তিনবারের বেশি পুনঃতফসিল করতে পারবে না। তৃতীয় দফা পুনঃতফসিলের পরও গ্রাহক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিনি স্বভাবজাত বা ইচ্ছাকৃত খেলাপি বিবেচিত হবেন।

আর নতুন নির্দেশনা মতে, এখন থেকে চারবারের বেশি পুনঃতফসিল করতে পারবেন না গ্রাহক।


নতুন নির্দেশনায়, ঋণ পুনঃতফসিলে ডাউনপেমেন্টের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে বকেয়া ঋণ স্থিতির ৪ শতাংশ বা মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির যথাক্রমে ৭ শতাংশ বা যে অঙ্ক কম। আগে ছিল ১৫ শতাংশ।

পুনঃতফসিলকৃত ঋণ পরিশোধে সময় দেওয়া হয়েছে ৬ বছর। দ্বিতীয় দফায় পুনঃতফসিলে গ্রাহককে গুণতে হবে মোট ঋণের ৫ শতাংশ বা বকেয়া কিস্তির ৮ শতাংশের মধ্যে যেটি কম। এর আগে যা ছিল ২০ শতাংশ। আর এজন্য পাঁচ বছর সময় পাবেন গ্রাহক। তৃতীয় ও সর্বশেষবারের জন্য রাখা হয়েছে ৬ শতাংশে ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ। অথবা বকেয়া কিস্তির ৯ শতাংশ। পূর্বে যা ছিল ঋণের ৫০ শতাংশ। তৃতীয়বার পুনঃতফসিল করেও সেই ঋণ শোধ করার জন্য আরও পাঁচ বছর সময় পাবেন গ্রাহক। সুতরাং তিনবার পুনঃতফসিল করলে সামষ্টিকভাবে ১৬ বছর সময় পাবেন বকেয়া ঋণ পরিশোধের জন্য।

নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রকৃত আদায় ব্যতিরেকে পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠনকৃত ঋণের বিপরীতে কোনো অর্থ আয় খাতে নেওয়া যাবে না। অধিগ্রহণকৃত (টেকওভার) ঋণের ক্ষেত্রে পূর্বের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুনঃতফসিল/পুনর্গঠনকে বিবেচনায় নিতে হবে, যা সর্বোচ্চ চারবার হিসাবয়নের ক্ষেত্রে গণনায় নিতে হবে। জাল-জালিয়াতির ঋণ এ নীতিমালার আওতায় পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করা যাবে না। গ্রাহকের অস্তিত্ব, ঋণের সদ্ব্যবহার, জামানত ইত্যাদি যাচাই করে নথিতে রাখতে হবে।

একইভাবে পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করার জন্য নির্দিষ্ট ছকে তথ্য নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনের সুবিধার্থে নথিতে সংরক্ষণ করতে হবে। পুনঃতফসিল করার সময় কস্ট অব ফান্ড কাভার না করে কোনো সুদ মওকুফ করা যাবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনকালে নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে পুনঃতফসিল হলে পরিদর্শন দল তা বাতিল করতে পারবে।

এই বিভাগের আরো খবর