বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৯ ১৪৩২   ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১১৬

৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে মহাসমাবেশ করবে আ. লীগ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২২  

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বিকেল সাড়ে চরটায় শুরু হওয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দল প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠকে মেয়াদোত্তীর্ণ বেশকিছু সহযোগী সংগঠনের ও তারিখ নির্ধারণের আভাস দেন। বৈঠকে বিভাগীয়, জেলা উপজেলার সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন। বিএনপির সমাবেশের নামে হুঙ্কারের প্রতিবাদো আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে বিশাল জনসভা করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেবেন।

দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে আসেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের কথা জানান। এ ছাড়া আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের মহাসমাবেশের কথা জানান।

কাদের বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এবার একদিনে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সকালে উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিকেলে কাউন্সিল অধিবেশন হবে অর্থাৎ নেতৃত্ব নির্বাচন পর্ব। এরপর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।

কাদের আরও বলেন, ২২তম জাতীয় সম্মেলন সফল করতে বেশকিছু উপ-কমিটি করা হয়েছে। পরে কমিটির সদস্যদের নাম জানিয়ে দেয়া হবে।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে ব্যয় কমাতে হবে ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতায়। তাই খরচ কমানোর জন্য আয়োজন হবে সাদামাটা। সম্মেলন প্রস্তত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন তিনি।

এ সময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই বিএনপি আজ আন্দোলন করতে পারছে। কিন্তু বিএনপির যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে হবে। তাদের কোনো ছাড় নেই।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের আস্থা রয়েছে বলেই তিনবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে; এবারও দেবে। কিন্তু যারা সন্ত্রাসী, খুনি, জনগণের অর্থ লুটপাটকারী, বোমা-গেনেড হামলাকারী ও অর্থপাচারকারী জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, ভোটও দেবে না।

বৈঠকে যোগ দিতে বিকেল সাড়ে তিনটায় গণভবনে প্রবেশ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরুল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ ও বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্যরা।

গত ৭ মে দলের সবশেষ কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। 

এই বিভাগের আরো খবর