সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪   আষাঢ় ১৬ ১৪৩১   ২৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২০৬

২৪হাজার টাকা না দেওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে মিটার স্থাপন!

আবু তাঈম সিজান গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৪  

পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাসে এমন একটি স্থানে গাছের সাথে পল্লী বিদ্যুৎ এর মিটার রাখা যেটার মাধ্যমে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।

এই মিটরের জন্য  ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দক্ষিণ আইচা জোনের চর বিশ্বাস অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগের পরেও পাওয়া যায়নি কোন সুফল।

চর বিশ্বাস ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ এর উপরে একটি ছোট গাছের সাথে এই মিটারটি স্থাপন করা। যা মাটি থেকে দুই ফুট উপরে বেড়িবাঁধের ঢালে এবং বেড়িবাঁধের উপর থেকে দেড় ফুট নিচে। এই মিটার থেকে নরমাল তারের মাধ্যমে লাইন গেছে প্রায় ২৫০ মিটার দূরে একটি বসতি ঘরে।  ঝুঁকিতে আছে ঘরের লোকজন সহ বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করা মানুষ সহ সকল প্রাণী।


ঘর মালিক মো: ইদ্রিস এর স্ত্রী দৈনিক তরুণকন্ঠ কে বলেন আমাদের ঘরে কাছে ট্রান্সফরমারের লাইন নেই তাই মিটার ওখানে রাখা হয়েছে, মিটার রাখার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ এর লোকদের টাকা দিতে হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ এর লোক আমার বাসা পর্যন্ত ট্রান্সফরমারের তার এনে দিবে বলে  ২৪০০০ টাকা চেয়েছে, টাকা না দিতে পারায় আমাদের লাইন ঠিক করে দেয়নি। কিছু টাকার বিনিময়ে এভাবে মিটার দিছেন তারা। কত টাকা নিছে জানতে চাইলে বলেন, আমি সেটা জানিনা,  তবে আমার স্বামী বলতে পারবে। এবিষয়ে মো: ইদ্রিস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে এক হাজার টাকা চেয়েছে এভাবে লাইন দেয়ার জন্য তবে আমি এক টাকাও দেইনি বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
স্থানীয়রা বলেন এভাবে মিটার রাখা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কখন কিভাবে দূর্ঘটনা ঘটে সেটা বলা যাচ্ছেনা। এই পথ দিয়ে অনেক ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা আসা-যাওয়া করে, গরু-মহিষ সহ বিভিন্ন প্রাণী আনা-নেয়া হয় তাই সবদিক বিবেচনা করে দূর্ঘটনা এড়াতে মিটারটি সরিয়ে নেয়ার দাবি আমাদের।
আজিজুল নামের এক ব্যক্তি বলেন, চর কাজল, চর বিশ্বাসে পল্লী বিদ্যুৎ এর নাম দিয়ে লুটে নেয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের টাকা। একটি আবাসিক মিটার ৪৫০ টাকা জামানতে দেয়ার নিয়ম থাকলেও আমার থেকে ৫০০০ টাকা নিয়েছে চর বিশ্বাস অফিসের লোকজন, ৭ দিনে মিটার দেয়ার কথা কিন্তু প্রায় ৪ মাস হয়ে গেলেও এখনো আমি মিটার পাইনি।

চর কাজল-চর বিশ্বাস অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো: তোফাজ্জল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিটারের কথা বল্লেইতো হয়না অফিসের নিয়ম অনুযায়ী মিটার পাবে গ্রাহক, তবে টাকার কথা এড়িয়ে যান তিনি এবং গাছের সাথে মিটার প্রসঙ্গে বলেন, এরকম কোন মিটার দেয়া নেই আমাদের, যদি আপনাদের নজরে আসে এমন মিটার তবে আপনারা চাইলে নিউজ করতে পারেন আমাদের কোন সমস্যা নাই।
ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ খালেদুল ইসলাম বলেন ঘর ছাড়া মিটার দেয়ার কোন নিয়ম নেই আমাদের,  তবে এই মিটারটি কিভাবে দিয়েছে সেটা আমরা জানিনা। আমরা মিটারটি দ্রুত খুলে নেয়ার ব্যবস্থা করবো।

এই বিভাগের আরো খবর