বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৭

হলুদ ও মধু একসঙ্গে খাওয়ার ৫ উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৪  

হলুদ এবং মধু। এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানই নিজ নিজ গুণে সমাদৃত। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য রয়েছে এগুলোর অসংখ্য উপকারিতা। উপকারী এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে কী হয়? হলুদের কারকিউমিন এবং মধুর সক্রিয় যৌগ তার মিষ্টি, হলুদ আর মধু মিশিয়ে খেলে তাই স্বাদের পাশাপাশি মেলে নানা পুষ্টিও। চলুন জেনে নেওয়া যাক, হলুদ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
১. অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি পাওয়ার হাউস

হলুদ এবং মধুর সংমিশ্রণটি বেশ অসাধারণ, এর রয়েছে চমৎকার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। কারকিউমিন হলো হলুদের মধ্যে পাওয়া যৌগ যা প্রদাহ দূর করে। হলুদ ও মধু একসঙ্গে খেলে তা বাতের মতো প্রদাহজনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। তাই এ ধরনের সমস্যায় হলুদ ও মধু খেতে পারেন।

২. ইমিউন সিস্টেম বুস্টার

হলুদ ও মধুর মিশ্রণ একটি ইমিউন-বুস্টিং সিস্টেম। হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে কারণ এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। হলুদ ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে। কাঁচা মধু এনজাইম এবং পুষ্টির একটি ভালো উৎস যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই দুই উপাদান একসঙ্গে খেলে তা সংক্রমণ এবং অসুস্থতা থেকে দূরে রাখতে পারে তাই ঠান্ডা ঋতুতে উপকারী।

৩. হজমের সামঞ্জস্য

মধু এবং হলুদ চমৎকার হজমকারী উপাদান। এটি একটি পরিপাক যা পিত্তের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে শরীরের চর্বি হজম করতে সাহায্য করে। মধু হলো একটি হালকা রেচক যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টকে শান্ত করে, পেট ফাঁপা কমায় এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে। এটি পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। পুষ্টি শোষণ এবং পর্যাপ্ত হজমের জন্য অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া উন্নত করে।

৪. উজ্জ্বল ত্বক সমাধান

মধু এবং হলুদের মিশ্রণ ত্বকের স্বাস্থ্য এবং এর উজ্জ্বলতায় অনেক কিছু যোগ করে। হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ব্রণ এবং জ্বালা কমিয়ে দেয়, তবে মধু হলো একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যা ত্বকে পুষ্টি জোগায়। তারা সম্মিলিতভাবে মুখের স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতার জন্য ত্বকের টেক্সচারের চিকিৎসা করতে পারে।

৫. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি

হলুদে থাকা কারকিউমিন মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। কারকিউমিন নিউরোইনফ্লেমেশন এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে বাধা দেয়, যা নিউরোডিজেনারেটিভ রোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে বলা হয়। মধু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ফ্রি র‌্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এই দুই উপাদান একসঙ্গে খেলে তা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কাজ করে।