বুধবার   ২৩ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ৮ ১৪৩১   ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১০৫

সোভিয়েত রাশিয়ার সেই উড়ন্ত ট্যাংক!

মেহেদী হাসান শান্ত

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৮  

মানব সভ্যতার জন্য দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ ছিলো নিঃসন্দেহে একটি অভিশাপ!কিন্তু কিছু গোষ্ঠীর জন্য শাপে বর হয়ে এসেছিলো এ মহাযুদ্ধ। তারা ছিলেন অস্ত্র উদ্ভাবক, প্রস্তুতকারক এবং বিপণনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিত্ব। যুদ্ধে জড়িত এক পক্ষ অন্য পক্ষের সঙ্গে শক্তির লড়াইয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের নেশায় এই সর্বনাশা অস্ত্র ব্যবসায় বিনিয়োগ করত। যার ফলে উদ্ভাবিত হয় অনেক উন্নত প্রযুক্তি সংবলিত এবং অধিক মারণঘাতি সব সমরাস্ত্রের। আবার একই সঙ্গে অনেক উদ্ভট সব অস্ত্রের নকশাও করা হত, যেগুলো আসলে ছিলো উদ্ভাবকদের চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রতিফলন। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের হর্তাকর্তারা এমনই এক আজব পরিকল্পনা এঁটেছিলেন।

 

1.সোভিয়েত রাশিয়ার সেই উড়ন্ত ট্যাংক!

রাশানদের উদ্দেশ্য ছিলো বোমারু বিমানে ব্যবহার করে দ্রুত বেগে হালকা সাইজের ট্যাংক যুদ্ধক্ষেত্রে সরবরাহ করা। এজন্য তারা ভাড়া করে আনে ওলঁ আন্তোনভ নামের এক এয়ারক্রাফট ডিজাইনারকে। তিনি একটি পুরোদস্তুর ট্যাংক নিয়ে সত্যিকারই একটি বিমানের সঙ্গে সেট করে আকাশে উড়িয়ে দিলেন! ট্যাংকবাহী বিমানটির নামও দেয়া হয় উদ্ভাবকের নামে, 'আন্তোনভ টি-৪০'। আপাতদৃষ্টিতে ব্যাপারটিকে মনে হতে পারে সাধারণ কিন্তু বাস্তবে একেবারেই নয়। বৈশিষ্ট্যগতভাবেই যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত ট্যাংকগুলো হয় অনেক ভারী, আর আকাশে ওড়ার জন্য একটি বিমানের মূল লড়াইটা হয় অভিকর্ষ বলের সঙ্গে!

 

2.সোভিয়েত রাশিয়ার সেই উড়ন্ত ট্যাংক!

তাই ওজন কমাতে এটি থেকে বাদ দিতে হলো কিছু গোলা বারুদ, হেডলাইট, জ্বালানি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ রসদ! তারপর ওই অসম্পূর্ণ ট্যাংক যুদ্ধক্ষেত্রে সাপ্লাই দেয়ার জন্য বিমানটি আকাশে উড়ল। সোভিয়েত কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা এক রকম সফলই হয়েছিলো বলা যায়, ট্যাংকগুলো ঠিকই যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছেছিলো, কিন্তু তারা যেমনটা চেয়েছিলেন তেমনভাবে নয় বিমানটিই ভূপাতিত হয়েছিলো আস্ত ট্যাংকটি নিয়ে! সত্যি কথা বলতে এত ভারী ট্যাংক বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন বিমান তখনো সোভিয়েতদের কাছে ছিলো না। তাই তাদের এ অভিনব পরিকল্পনাও ধোপে টেকে নি। সে যাই হোক, বেশ একখানা উড়ন্ত ট্যাংকের পরিকল্পনা তারা করেছিলেন বৈকি!

এই বিভাগের আরো খবর