শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪   আষাঢ় ২০ ১৪৩১   ২৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৫

সূর্যর সেই ক্যাচের পেছনের গল্প শোনালেন ভারতের ফিল্ডিং কোচ

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৪  

প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপ শিরোপার একেবারে তীরে পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৬ রান দরকার ছিল তাদের। হার্দিক পান্ডিয়ার করা ২০তম ওভারের প্রথম বলেই লং অফে উড়িয়ে মারেন ডেভিড মিলার। সীমানা দড়ির কাছে অসাধারণ দক্ষতায় সূর্যকুমার যাদব সেটিকে তালুবন্দী করেন।

বাউন্ডারি লাইনের ধারে ধরা সেই ক্যাচ ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিল। বলা যায় ভারতের বিশ্বকাপ জয় প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছিল। চাপের সময় কীভাবে এমন ক্যাচ ধরেছিলেন সূর্যকুমার? ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ।

দিলীপের মতে, উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে মিলারের ক্যাচ ধরেছিলেন সূর্যকুমার। হার্দিক পান্ডিয়ার নিচু ফুলটস বলে ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন মরিয়া মিলার। সবাই ভেবেছিলেন ছয় হয়ে যাবে। কিন্তু সূর্যকুমারের অন্যরকম ভাবনা ছিল। অনবদ্য ক্যাচ ধরেন। 


সেই ক্যাচ নিয়ে দিলীপ বলেছেন, ‘অনেকেই সূর্যকুমারের ক্যাচটা নিয়ে জানতে চাইছেন। অনুশীলনে এরকম ক্যাচ ও অন্তত ৫০টা ধরেছে। তবে ম্যাচের সময় সিদ্ধান্তটা ওরই ছিল। উপস্থিত বুদ্ধি এবং ক্রিকেট সচেতনতার উদাহরণ ওই ক্যাচ। বাউন্ডারির দড়ি কোথায় আছে, সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা ছিল সূর্যকুমারের। তাই ওকে ক্যাচটা ধরার সময় যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে। নিজে লাইনের বাইরে চলে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বল শূন্য ছুড়ে দিয়েছিল। আবার মাঠের মধ্যে পা দেওয়ার পর ক্যাচ সম্পূর্ণ করেছে। ওই মুহূর্তে এটা সম্পূর্ণ সূর্যকুমারের সিদ্ধান্ত।’


মিলারের ওই ক্যাচের জন্য বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতীয় দলের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পেয়েছেন সূর্যকুমার। খেলা শেষ হওয়ার পর সাজঘরে সূর্যকুমারের হাতে সেরা ফিল্ডারের পদক তুলে দিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। দিলীপের মতে, বড় বা হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে এই ধরনের পারফরম্যান্সই পার্থক্য গড়ে দেয়। ফাইনালের রং বদলে দেওয়া ক্যাচের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ সূর্যকুমারের বলে জানিয়েছেন ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ।

সূর্যকুমারের এই ক্যাচটি নিয়ে এখনো আলোচনা থামছে না। ওই ক্যাচ নেওয়ার সময় সূর্যকুমার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সীমানার বাইরে চলে যান, তবে তার আগেই বল শূন্যে তুলে দিয়ে মাঠে ঢুকে ফের লুফে নেন ক্যাচটি। পরে রিপ্লে পরীক্ষা করে সেটিকে আউট বলে সিদ্ধান্ত দেন টিভি আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো।

কিন্তু সেই আউট দেওয়ার সময় সীমানা দড়ির দিক থেকে ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল দেখানো হয়নি। সেটি দেখানো হলে আর কোনো সংশয় থাকত না বলে মনে করছেন ক্রিকেটভক্তদের অনেকেই। যদিও ভারতীয় দর্শক থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকরা ওই ক্যাচকে আজীবন মনে রাখবেন বলে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সূর্যকে।

ওই সময় মিলার আউট না হলে, সেটি ছয় বলে গণ্য হতো। ফলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হলেও হতে পারত। তাই ম্যাচের ফল নির্ধারণকারী মুহূর্ত নিয়ে কেন আম্পায়ার বাড়তি সময় নিলেন না, তা নিয়েই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। এ ছাড়া রিপ্লেতে সীমানা দড়িটিও কিছুটা সরে গেছে বলে দেখা যায়, কারণ ঘাসের ওপর বাউন্ডারি লাইনে সাদা দাগ স্পষ্ট। সেই দাগের ওপরই পা ছিল সূর্যকুমারের, যা সেই বিতর্ক আরও উসকে দিচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর