সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪০৭

সুস্থ রাখে পরিষ্কার রান্নাঘর

প্রকাশিত: ৯ জুন ২০১৯  

রান্নাঘরেই কিন্তু লুকোনো থাকে পরিবারের সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। তাই রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। রান্নার তেল মসলা বা সবজির খোসা কিংবা ফলের রস ছিটা রান্নাঘরের দেয়ালের কোনায় কোনায় জমে যায়। আর সেখানেই তৈরি হয় ব্যাকটেরিয়া।

ফলে তা থেকে ছড়াতে পারে অসুখ। তাই সুস্থ থাকতে রান্নাঘর পরিষ্কারের দিকে নজর দিতে হবে। রান্নাঘর ছোট একটি ঘর হলেও তা গোছানো ও পরিষ্কার রাখা কিন্তু মুখের কথা নয়। তাই রান্নাঘর পরিষ্কার করার কাজ দিন-সপ্তাহ-মাসে ভাগ করে নিন।

রান্না হয়ে গেলেই ওভেন ও গ্যাসের চুলা সাবান পানি দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। পরে করবেন বলে ফেলে রাখবেন না। খাবার পরিবেশন করার সময়ে বা তেল ঢালার সময়ে পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে মুছে নিতে হবে। দাগ পুরনো হলেই তা তুলতে সমস্যা হয়।

রান্নাঘরের মেঝে দিনে দুইবার মুছে পরিষ্কার করুন। সকালে ও রাতে রান্নার পরে মুছলেই ভাল। রাতে মুছতে অসুবিধা হলে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছতে পারেন।

রান্নাঘরে ওভেনের উপরে চিমনির গায়েও কিন্তু তেল জমে। প্রতিদন তেল-ময়লা তুলে নিলে ঝামেলা কম। অটোক্লিন চিমনি না হলে চিমনি খুলে পরিষ্কার করার ব্যাপার থাকে। তা হলে সপ্তাহে একদিন পরিষ্কার করুন। কিন্তু চিমনির চারপাশে, উপরে প্রতিদিন ভেজা টিসু বা স্পঞ্জ দিয়ে ঘষে মুছে নিতে হবে।

রান্নাঘরের বেসিন সব সময় যেন ঝকঝকে থাকে। বেসিনে কাপ, প্লেট জমিয়ে রাখবেন না। যদি থালা বাটি রাখতেই হয়, বেসিনের নিচে ঢেকে রাখুন। বেসিনের মুখে কিছু আটকে গেলে ভিনিগার ঢেলে রাখতে পারেন। কয়েক ঘণ্টা পরে নিজে থেকেই বেসিনের মুখ খুলে যাবে।

সপ্তাহে একবার রান্নাঘরের সব মসলার বাটা পরিষ্কার করে নিন। এক গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলে নিন। সেই পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে বাটার মুখের ময়লা তুলে নিন।

চিমনির বাইরের তেল-ময়লা হালকা গরম পানিতে সাবান গুলে পরিষ্কার করতে পারেন। বছরে দুই বার কোম্পানি থেকে সার্ভিসিং করান। রান্নাঘরের দেয়ালে টাইলস পরিষ্কার করতে পুরনো টুথব্রাশ সাবান পানিতে ব্যবহার করতে পারেন।

রান্নাঘরে তেলাপোকা হলে একটি পাত্রে লিকুইড সোপের মধ্যে পরিমান মতো পানি মিশিয়ে নিন। এক চামচ সাবান হলে ছোট এক বাটি পানি নিলেই চলে। তারপরে মিশ্রণটি রান্নাঘরের নানা জায়গায় ছড়িয়ে দিন। যে সমস্ত জায়গা থেকে তেলাপোকা, পোকা আসে সেখানে ছড়ালে সব মরে যাবে। আবার কর্পূর ছড়িয়ে রাখলেও কাজ হয়।

রান্নাঘরে জানালার গ্রিল বা এগজস্ট ফ্যানেও তেল জমে। তাই মাসে একদিন তা পরিষ্কার করিয়ে নিতে পারেন। ক্যাবিনেটও পরিষ্কার করুন। ভিতরটা মুছুন শুকনো কাপড় দিয়ে। বাইরেটা পরিষ্কার করুন ভিজে তোয়ালে দিয়ে।

রান্নাঘরে যেসব ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স থাকে অর্থাৎ টোস্টার, গ্রিলার বা মিক্সার-গ্রাইন্ডার, সেগুলো তাকে তুলে রাখুন। ব্যবহার করার পরে মুছে তুলে রাখুন। কভারও ব্যবহার করা যায়।

ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। তা হলে তেলের দাগ বেশি পড়বে না। ফোড়ন দেয়ার সময়েও ঢাকনা ধরে রাখুন কড়াইয়ের উপরে।