রোববার   ১১ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৮ ১৪৩২   ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪২৮

সিরাপ নয়, সর্দি-কাশি কমাবে চকলেট

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০  

করোনার এই সময়ে অনেকেই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। যদিও কেবলমাত্র সর্দি-কাশি করোনার লক্ষণ নয়। করোনা ছাড়াও নানা কারণে সর্দি-কাশি হতে পারে। হঠাৎ রোদ, বৃষ্টি আর গরমের কারণেই এটা হচ্ছে। তাপমাত্রার এই ওঠা-নামায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। এই সময় খুসখুসে কাশিতে অনেকেরই জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

মৌসুমি সমস্যায় আমরা প্রায় সকলেই অ্যান্টিবায়টিক বা কফ সিরাপের দ্বারস্থ হই। কিন্তু অ্যান্টিবায়টিকের প্রভাবে মুখে আর কোনো স্বাদ থাকে না, শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ে। আর কাফ সিরাপে খুসখুসে কাশি সারতেও বেশ সময় লেগে যায়। তাই আপনি যদি চকলেট ভালোবাসেন আর বাড়িতে চকলেট থাকে, তাহলে অ্যান্টিবায়টিক বা কফ সিরাপের আর প্রয়োজন হবে না। সর্দি-কাশির সমস্যায় চকলেট খেলেই কাজ দেবে। সেরে যাবে সমস্যা!

অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই দাবি একদল ব্রিটিশ গবেষকের। ইংল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অব হাল’-এর হৃদরোগ ও শ্বাসযন্ত্র বিভাগের প্রধান অ্যালিন মরিস জানান, সর্দি-কাশির সমস্যা নিরাময়ে ওষুধের অন্যতম উপাদান কোকোয়া। তার মতে, বাজারের ডার্ক চকলেটে কোকোয়ার পর্যাপ্ত উপস্থিতি সর্দি-কাশির সমস্যা নিরাময়ের ক্ষেত্রে সহজ সমাধান হতে পারে।

অধ্যাপক মরিসের মতে, চকলেটে থাকা কোকোয়ার মধ্যে থিওব্রমিন নামে এক বিশেষ ধরনের উপাদান থাকে, যা খুসখুসে কাশির জন্য দায়ী পাতলা শ্লেষ্মাকে ঘন আঠালো আস্তরণে পরিণত করে। ফলে সমস্যা মিটে যায়। এ ছাড়াও চকলেট গলার ভিতরে একটা আঠালো আস্তরণ তৈরি করে। ফলে আক্রান্ত স্নায়ুপ্রান্তগুলো ঢাকা পড়ে গিয়ে গলা খুসখুসের সমস্যা বন্ধ হয়ে যায়।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীদের মতে, সর্দি-কাশির ওষুধে ব্যবহৃত কোডিনের চেয়ে চকলেটে থাকা কোকোয়ায় সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়। তাদের মতে, সাধারণ ওষুধের চেয়ে কোকোয়া বেশি আঠালো হয়। তাই এটি গলার মধ্য তুলনামূলক পুরু আস্তরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়। ফলে ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সর্দি-কাশির সমস্যা অনেকটাই সেরে যাবে।

এই বিভাগের আরো খবর