মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ৬ ১৪৩১   ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৩৪

শেরপুরে পানি নেমে গেলেও ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি

আরফান আলী, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি :

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

শেরপুরের ব্রহ্মপুত্র ও দশানী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি নামা শুরু করলেও থামছে না নদী ভাঙন। এতে প্রতিদিনই নদীতে বিলীন হচ্ছে এলাকার ফসলি জমি, বসতভিটা ও গাছপালা। হুমকির মুখে পড়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজার ও মসজিদ। এ অবস্থায় চরম আতঙ্ক আর হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নদী ভাঙনে শেরপুর সদরের কামারেরচরের ৬ নম্বর চর, ৭ নম্বর চরসহ চারটি গ্রামের মানুষ চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। প্রতিদিনই নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর, আবাদি জমি ও গাছপালা। হুমকির মুখে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মসজিদ ও মাদ্রাসা। ৬ নম্বর চর গ্রামটিকে ঘিরে রেখেছে দশানি ও ব্রহ্মপুত্র নদী। ফলে গ্রামটির দুই পাশ্বই প্রতিবছর নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। এতে গত তিন বছরে গ্রামের বেশীরভাগ মানুষ জমি, বাড়িঘর হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্য স্থানে। ৬ নম্বর চর থেকে বাড়িঘর হারিয়ে অনেকেই বাড়ি করেছে নতুন চরে। গড়ে ওঠে নতুন পাড়া। এবার সেই পাড়াতেও হানা দিয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদী। অনেকেই একাধিকবার বাড়ি করে এখন নিঃস্ব হয়েছেন। আবার অনেকেই নতুন করে ভূমিহীন হয়ে পড়েছেন। এর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি হুসনে আরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে ৬ নম্বর চরের ১০০ মিটার এলাকা বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এর আগে ৭ নম্বর চরের বাজার, স্কুল ও মসজিদ রক্ষা করতে ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য। এ এলাকার মানুষ ত্রাণ চান না, তারা চান নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা করা হউক। শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও শাখা কর্মকর্তা জিয়াসমীন খাতুন বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করছি এবং এ এলাকায় অবস্থান করছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হচ্ছে। এদিকে শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হক বলেন, দশানি ও ব্রহ্মপুত্র নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। ভাঙনরোধে দুই গ্রামে ৪৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাজও শুরু হয়েছে। নদীর বেরিবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প পাঠানো হবে। অনুমোদন হলে আমরা কাজ করতে পারব।
এই বিভাগের আরো খবর