বৃহস্পতিবার   ৩১ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ১৬ ১৪৩১   ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৯৬

শান্তিগঞ্জের আস্তমায় কাবাডি খেলায় আনন্দের মেলা

জামিউল ইসলাম তুরান,

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২১  

 

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার আস্তমা গ্রামে প্রতিবছরের মতো এ বছরও অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী প্রীতি কাবাডি খেলা। শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আস্তমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উৎসবমূখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে চলে এ খেলা। খেলায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবাননগর ও মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভার পাঠানবাড়ি এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলার আস্তমা, ডুংরিয়াসহ অন্যান্য গ্রামের সর্বমোট ১শ টি দল অংশগ্রহণ করে। আস্তমা গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত প্রীতি কাবাডি খেলায় ১শ দলের মোট ৫০টি ম্যাচ্ অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার বেলা আড়াইটায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইরের এলাকা থেকে আসছেন অসংখ্য যানবাহন ভর্তি মানুষ। আস্তমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ লোকে লোকারণ্য। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। স্কুল সীমানার বাইরে শতাশতি দোকানপাট। চায়ের দোকান, বরিশালী আমড়া আর নানাধরণের খেলনার দোকান। ছেলে-বুড়ো ও কিশোর-যুবকরা আনন্দ করছেন। এ যেনো আনন্দের এক অন্যরকমের মেলা বসেছে আস্তমা গ্রামের এ পয়েন্টে।

আয়োজক কমিটির লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রামবাসী একত্রে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, গ্রামীন ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে প্রতিবছরের মতো এ বছরও আমরা আমাদের গ্রামে কাবাডি খেলার প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করবো। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের (শনিবারের) এই আয়োজন। আয়োজন উপলক্ষে আমরা চার ভাগে বিভক্ত হয়ে আগত মেহমানদের আপ্যায়নের জন্য চারটি গরু জবাই করেছি। সকলের ঘরে ঘরে মেহমান এসেছেন। প্রত্যেকে এ আপ্যায়নে নিজে থেকে আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। সুনামগঞ্জ থেকে চারশতাধিক খেলোয়ার এসেছেন। যাওয়ার সময় উপহার স্বরূপ আমরা তাদেরকে একটি জীবিত খাসি (ছাগল) উপহার দেবো।

আয়োজক কমিটির সদস্য আঙ্গুর মিয়া ও জিল্লুর রহমান বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য রক্ষার জন্য আমরা প্রতিবছরই এ আয়োজন করছি। এ খেলা আস্তমা গ্রামের দক্ষিণের মাঠে অনুষ্ঠিত হতো। বন্যার পানি মাঠে থাকায় এ বছর স্কুলের মাঠে এ খেলা হচ্ছে। এ বছর সুনামগঞ্জের কুরবাননগর ও মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন এবং পৌরসভার পাঠানবাড়ি থেকে প্রায় ৫০টি দলের খেলোয়ার প্রীতি ম্যাচ খেলতে এসেছেন। আমরা গরু জবাই করেছি। তাদেরকে একটি খাসি উপহার দেওয়া হবে। এ ছাড়া গ্রামের মাঝে যেনো আনন্দের বন্যা বইছে। সকলের সহযোগিতা থাকলে প্রতিবছর এ খেলা অব্যাহত রাখবো।

এই বিভাগের আরো খবর