মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ৭ ১৪৩১   ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৫২

শরীর ফিট তো আপনি হিট!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

কথায় আছে ‘শরীর ফিট তো আপনি হিট’। আর তাই শরীর ঠিক রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে ও শরীরের ওজনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া শরীরের হাড়ের দৃঢ়তা বজায় রাখা, মাংসপেশীর সবলতা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের স্বাভাবিক চলন ক্ষমতা বজায় রাখতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই।

ব্যায়ামের জন্য তেমন কোন বয়সের সীমা নেই। প্রাপ্তবয়স থেকে শুরু করে বার্ধক্য পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কমপক্ষে সকাল-সন্ধ্যা ২ বার ব্যায়াম করা প্রয়োজন। এটি দেহ ও মনকে সতেজ ও বলবান রাখে এবং পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতায় অবদান রাখে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত ও পরিমিত শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে শতকরা ১৭ ভাগ ক্ষেত্রে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস, শতকরা ১২ ভাগ ক্ষেত্রে বৃদ্ধ বয়সে হঠাৎ পড়ে যাওয়া জনিত সমস্যা এবং শতকরা ১০ ভাগ ক্ষেত্রে স্তন ও অন্ত্রের ক্যান্সার দেখা দেয়। যদিও এ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক।

ব্যায়ামের উপকারিতা

১। শারীরিক ব্যায়াম টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

২। মানবদেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়।

৩। রোগ-বালাই কমিয়ে আয়ুষ্কাল বাড়ায় দেয়।

৪। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের চর্বির আধিক্য বা বাড়তি চর্বি কমায়।

৫। যারা উচ্চরক্তচাপে ভোগেন, নিয়মিত ব্যায়াম তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৬। ব্যায়াম কিছু ক্যানসারের (ক্যানসার কাকেক্সিয়া, ব্রেস্ট ক্যানসার, কোলন ক্যান্সার) ঝুঁকি কমায়।

৭। প্রাত্যহিক ব্যায়াম পেশি সবল করে।

৮। যারা দীর্ঘসময় ধরে মাংশপেশি ও সন্ধি বা হাড়ের ব্যথায় ভোগেন, ব্যায়াম দ্বারা সেই ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

৯। হৃদরোগ বা হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালীর অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

১০। ভাইরাসের আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষিত করে।

১১। মানসিক অবস্থার উন্নতি করে চাপ ও মন-মরা ভাব দূর করে।

১২। স্মরণ শক্তির বাড়ায়।

বিশেষজ্ঞরা সবসময়ই পরামর্শ দেন নিয়মিত ব্যায়াম করার জন্য। ব্যায়ামের ফলে শারীরিক দুর্বলতা হ্রাস পায় এবং ব্যায়াম ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে মানসিক চাপ অনেকাংশেই কমে আসে।

এই বিভাগের আরো খবর