শুক্রবার   ১১ এপ্রিল ২০২৫   চৈত্র ২৭ ১৪৩১   ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৬২৫

রুপপুরের `বালিশ` দেখি এবার হয় কি না দুদুকের মালিশ

আশরাফুল আলম সিদ্দিকী

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৯  

আশরাফুল আলমসিদ্দিকী  বাধ্যতামূলক সেখানে প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশকালে সংবাদ কর্মিদের সংবাদের উৎস সহ সর্বদিক বিবেচনা করা উচিৎ। সংবাদ কর্মিদের খবরের সত্যতা যেমন নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন, তেমনি সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা/কর্মচারীগনের সাক্ষাৎকার প্রকাশও প্রয়োজন।শুধু প্রয়োজন নয় প্রকার ভেদে বাধ্যতামূলক হওয়া উচিৎ, আমি মনে করি। 

আমরা সকলেই কমবেশী জানি সকল দাতা সংস্থার ঋন দান,অনুদান, সাহায্য প্রদানে নিয়ম বিধি একরকম নয়, শর্তেও প্রচুর ব্যাবধান আছে।সরকারের মেঘা প্রকল্প নিয়ে মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত অনুমান নির্ভর বা শর্তাদি অবগত না থাকা সত্বেও নেতিবাচক খবর প্রকাশ,অন্যান্ন মেঘা প্রকল্পের দাতা সংস্থার মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বেনা--হলফ করে বলা যায়না। দাতাসংস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে আপত্তি ছিলনা, সরকারের ভাবমূর্তিতে সাংঘাতিক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। 

যে প্রকল্পে কর্মচারীদের জন্য সরবরাহকৃত বালিশের ক্রয়মূল্য ৫ হাজার টাকার অধিক এবং উক্ত 'বালিশ' কর্মচারীদের কক্ষে পৌঁছে দেয়ার ভাড়া বাবদ খরছ প্রায় হাজার টাকা, তদ্রুপ প্রকল্পের চুক্তিতে নিশ্চয়ই কোন না কোন বাধ্যবাধকতা যে রয়েছে, বুঝতে কারো বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।আমার বিশ্বাসই হয়না দেশে সর্বাদিক গুরুত্বপূর্ণ 'মেঘা প্রকল্প সমূহে পত্রপত্রিকায় বর্ণিত হরিলুট হতে পারে। কারন, ইতিপুর্বে দেশের সর্ববৃহৎ 'মেঘা প্রকল্প' পদ্মাসেতু'র কল্পিত দূর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক টাকা প্রত্যাহার করার তিক্ত ও বেদনাদায়ক দগদগে ক্ষত এখনও শুকিয়ে যায়নি। তাঁর প্রমান বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরকালীন সময়ে জনগনের ঘৃনিত প্রতিক্রিয়াই প্রমান করেছে।

উল্লেখ্য, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শুরু থেকে ব্যাপক দুর্নীতি'র খবরাখবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশ হতে দেখা গেছে। কখনই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় বা পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কতৃপক্ষের এসংক্রান্ত বক্তব্য বা মতামত পত্রিকা বা ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়ায় প্রকাশ হতে দেখা যায়নি। দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রপত্রিকা বা ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত সচিত্র খবর বা অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ হতেও কখনও দেখা যায়নি। লক্ষনীয় বিষয়টি হচ্ছে, এযাবৎ প্রকাশিত হরিলুটের কল্পকাহিনীর, কোন পত্রিকাই তথ্য সূত্র উল্লেখ করেনি।তদোপুরি আমরা কতিপয় অতি উৎসাহী ফেইচবুকার 'সরকারকে ট্রল' করতে সামান্যতম কার্পন্য করছি না।

অনলাইনের কতিপয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে দেশের সর্ববৃহৎ এবং শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যম 'ফেইচবুকে' প্রতিনিয়ত সরকারে'র শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী অংশীদার আমরা 'সমর্থক গোষ্টি'র নেতিবাচক প্রচারণা হীতে যে বিপরীত হবে এই বিষয় কারো সন্দেহ থাকা উচিৎ নয়।এইমহুর্তে সরকারের জনপ্রিয়তায় যে ধ্বস নেমেছে--দেশপ্রেমিক সরকার বিরুধী রাজনৈতিক দল রাজপথে থাকলে টের পাওয়া যেত।

ইহাও সত্য, যেকোন বিষয় উত্থিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতকরণে ইদানিং সরকারে'র সংশ্লিষ্ট মহলে যথারীতি উদাসীনতা পরিলক্ষিত।উন্নয়নশীল দেশের গনতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে যাহা কখনই কাম্য হতে পারেনা। যেকোন নেতিবাচক প্রচারণা, প্রপাগান্ডা, ষড়যন্ত্র দেশ ও জনগনের চলমান উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা যে কখনই ব্যাহত করতে পারবেনা "এমন বিশ্বাস অহংকারের সমপয্যায় বটে"। অহংকার যে পতনের মূল, নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।

'৭২-৭৪ সালেও সরকার বিরুধীদের নেতিবাচক প্রচারণার প্রতি বলতে গেলে বঙ্গবন্ধু'র নতুন দেশের নতুন সরকার একরকম উদাসীনই ছিল "যার খেসারৎ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ তাঁর সম্পূর্ণ চেতনা হারাতে বসেছিল"।

আমি বিশ্বাস করি"প্রতিটি ইতিবাচক এবং নেতিবাচক প্রচারনার জবাবদানে সরকারের তৎক্ষনাৎ ভুমিকা জনমনে স্বস্তি,শান্তি, বিশ্বাস দৃড় করতে পারে, সরকার সমর্থকদের মনোবল বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারে"। যাহা এই মহুর্তে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এই বিভাগের আরো খবর