মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৯৩

রমজানে খাবার নিয়ে সাধারণ কিছু ভুল

প্রকাশিত: ৯ মে ২০১৯  

 ইফতার
রমজান মাস হচ্ছে আত্মসংযম ও আত্মসুদ্ধির মাস। তবে আত্মসুদ্ধি অর্জন করতে গিয়ে খাবার নির্বাচনে ভুল করার কারণে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। আর অসুস্থ হওয়ার ফলে রমজানের কাজগুলো সঠিকভাবে পালন করতে ব্যর্থ হই। তাই এই মাসে খাবার নির্বাচনের সময় অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

রুহ আফজা

রুহ আফজায় আছে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং অন্যান্য কোলারেন্টসের সংমিশ্রণ, যা প্রতিদিন পানের মাধ্যমে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে সপ্তাহে দুবারের বেশি এটি পান করা উচিত নয়।

পানি

পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু ইফতারের পরই খুব বেশি পরিমাণ পানি পান করা ঠিক নয়। কারণ পানি দিয়ে পেট ভরে ফেললে খাবার গ্রহণের আর জায়গা থাকে না। তখন পেটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।

তাই ইফতারের পর অল্প পরিমাণ পানি পান করুন এবং প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর এক গ্লাস পানি পান করুন।

ব্যায়াম

ইফতারের পর কখনই ব্যায়াম করা ঠিক নয়। কারণ ইফতারের পর শরীরের রক্তপ্রবাহ পেটের চারপাশে ঘনীভূত হয়। তাই খাবার সহজে হজম হওয়ার জন্য অন্তত দুই ঘণ্টা পর ব্যায়াম করা উচিত।

মিষ্টি

ইফতারের সঙ্গে সঙ্গেই খুব বেশি মিষ্টি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এ সময় মিষ্টি খেলে শরীরে ঘুমের ভাব চলে আসে, যা শরীরকে ফ্রেশ রাখতে বাধা দেয়। তাই ইফতারের অন্তত দুই ঘণ্টা পর মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে হবে। তা হলে নামাজ ও অন্যান্য কাজে প্রফুল্লতা আসবে।

এ ছাড়া সেহরির সময় উচ্চ সোডিয়াম ও পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে।

এ জন্য সেহরির সময় একটি কলা খাওয়া যেতে পারে। কারণ কলায় প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে। এর মাধ্যমে সারাদিন শরীরের ক্ষুধা তৃষ্ণা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

কলা ছাড়াও দুধ, খেজুর, অ্যাভোকাডো, পেস্তা বাদাম, মিষ্টিকুমড়া, ডাল, ডার্ক চকোলেট খেতে পারি। কারণ এগুলো পটাশিয়ামের উৎস।

তবে সেহরিতে অবশ্যই বিরিয়ানি, কাবাব, পিজ্জা, পনির, হালিমসহ ফাস্টফুডজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সে ক্ষেত্রে সেহরির সময় ভাত, আলু, খেজুর, কলা, শস্যদানাজাতীয় খাবার শরীরের জন্য ভালো।