সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৭ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১২৪

যারা দেশ চায়নি তারাই আবার ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৩  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এই দেশ স্বাধীন করতে যারা বিরোধিতা করেছে, ষড়যন্ত্র করেছে, এদেশের মেধাবী চিকিৎসক, পেশাজীবীসহ বুদ্ধিজীবীদের নির্বিচারে হত্যা করেছে, যারা এই দেশটির স্বাধীনতাই চায়নি তারাই এখন এদেশের ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে।

রোববার (২৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় জনসংখ্যা ও পুষ্টি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়াম হলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, তারা এর আগে একবার ক্ষমতায় গিয়েছিল। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা এদেশের পতাকা পদদলিত করেছিল, অথচ তারাই তাদের গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিল। আমরাই একসময় তাদের আমাদের জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে দিয়েছিলাম। তবে সেই সুযোগ তারা আর কখনই পাবে না। সেই দিন এখন আর নেই।

আরও পড়ুন: দেশে নানারূপে বিরাজ করছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি: কাদের
তিনি বলেন, এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের রোল মডেল হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের অভাব নেই, একটি মানুষও দেশে না খেয়ে থাকে না। করোনায় গোটা বিশ্ব লন্ডডন্ড হয়ে গেলেও বাংলাদেশ ঠিকই মাথাউঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এসব সম্ভব হচ্ছে কারণ জাতির জনকের মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায়। আগামীতে যাতে এই দেশকে নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় নিয়ে আসতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আমাদের ধ্বংস করে নিঃশ্বেষ করে দিতে চেয়েছিল। যুদ্ধকালীন দেশের চিকিৎসকদের মেরে ফেলা যায় না, নিয়ম নেই। অথচ সেসময়কার বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের হৃৎপিণ্ড উপড়ে নেওয়া হয়েছিল। চক্ষুবিশেষজ্ঞের চোখ তুলে নেওয়া হয়েছিল। সে লাশগুলো পরে পাওয়া গেছে। যেগুলো লাশ পাওয়া যায়নি সেগুলো আরও কত কী করেছে। তারা দেশের ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে যা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে বিরল। অথচ আজ তারাই এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়।

আরও পড়ুন: আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাবো: ফখরুল
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করতে জিয়াউর রহমান নেপথ্য ভূমিকা রেখেছে। শুধু তাদের সঙ্গে হাতই মিলায়নি, সেই পরাজিত বাহিনীর সঙ্গে একসঙ্গে রাজনৈতিক দল গঠন করে এদেশের ক্ষমতায় বসেছে, এদেশের কপালে কলঙ্কের দাগ লাগিয়ে দিয়েছে।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তুলে ধরাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া।

এই বিভাগের আরো খবর