মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৯ ১৪৩২   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৬১

মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০১৯  

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

রোববার সকালে মিন্নির জামিন আবেদন করে আদালতের কার্যতালিকায় তোলা হয় মামলাটি। পরে বেলা ১১টার দিকে মিন্নির জামিনের জন্য শুনানি শুরু হয়।

মিন্নির জামিনের জন্য আদালতে শুনানিতে তার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা আইনজবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের, অ্যাডভোকেট দীপক চন্দ্র হালদার, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল নোমান, অ্যাডভোকেট সাহিদা বেগম, অ্যাডভোকেট আবদুর রশীদ ও অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমানসহ ৩০ জনেরও বেশি আইনজীবী। এ সময় মিন্নিকে আইনি সহায়তা দিতে ঢাকা থেকে আসা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চার আইনজীবীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম সমকালকে বলেন, 'আদালতে বলেছে, মিন্নি যেহেতু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং মামলার তিন আসামি মিন্নির সংশ্লিষ্টতা আছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে; সেহেতু তার জামিন দেওয়া যাচ্ছে না। এখন আমরা জজকোর্টে জামিন আবেদন করবো।'

রিফাত হত্যা মামলায় নাটকীয়ভাবে মিন্নিকে ১৬ জুলাই গ্রেফতার দেখানো হয়। ১৭ জুলাই বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই ১৯ জুলাই মিন্নি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে পরিবারের সদস্যরা  জেলগেটে দেখা করতে গেলে মিন্নি তাদের বলেন, আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে পুলিশ তাকে যা বলতে বলেছে তিনি তাই বলেছেন। না বললে পুনরায় রিমান্ডে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল মিন্নিকে। তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে রিফাত শরীফকে। এ ঘটনায় পরের দিন ২৭ জুলাই ১২ জনের নাম উল্লেখ করে নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে এবং মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গ্রেফতারদের মধ্যে মিন্নিসহ ১৪ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং মামলার তিন নম্বর আসামি রিশান ফরাজীকে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এই বিভাগের আরো খবর