শুক্রবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ৩ ১৪৩১   ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৭৬৪

মানুষ যখন ভাল তো বাসবেই

সাজ্জাদ হোসেন

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০১৯  

ভালোবাসা নিয়ে মাতামাতি! এ যেন মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। মানুষ যখন, ভালো তো সে বাসবেই। আর ভালোবাসবে যখন, একটু-আধটু ছ্যাঁকা খাওয়া- সে পর্বটাও চলবে। তবে এই পুরো প্রক্রিয়ায় মানুষকে দেখলে যেন ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’-এর সেই কথাগুলোই মনে পড়ে যায়। ‘মরে গেলে মানুষ পচে যায়, আর বেঁচে থাকলে বদলায়। কারণে-অকারণে বদলায়’। 
ভালোবাসা শব্দটাও মানুষকে কত বদলে দেয় সেটা বুঝে নিতে সদ্য প্রেমী এবং সদ্য দেবদাস (ছ্যাঁকা খাওয়া পাত্র)- এ দু’জনকে দেখাটাই যথেষ্ট। আপনি কোন পর্যায়ে আছেন? প্রেমে পড়েছেন, প্রেম চলছে, নাকি প্রেম সবেমাত্র ছুটে গেল? প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন, এমন কপোত-কপোতীরা না হয় আজ থাকুক। চলুন, দেখে নিই প্রেম সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগে চলা বাকি দুই পক্ষকে। সদ্য প্রেমী ও সদ্য ছ্যাঁকা খাওয়া প্রেমী- কেমন হয় তাদের আচরণ আর দর্শন?
প্রথমে চলুন যেনে নি ভালোবাসা কী? সবার মতামত একই হবে : ভালোবাসা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ঘটনা, স্বর্গ থেকে আসা অতীব আশ্চর্যজনক বস্তু। মনে হয়, ভালোবাসার মানুষটার দিকে কেবল তাকিয়েই থাকি!
ভালবাসার মানুষ পাশে থাকলে মনে হয় যেন পৃথিবী কতই না সুন্দর। মানুষটা যেমনই হোক না কেন তাকে নিয়ে ভাবতে যেন ভালোই লাগে। ইচ্ছে করে সর্বক্ষণ তার সাথে থাকার। প্রেমে অতিষ্ট প্রেমিক-প্রেমিকার মতে, ও পাশে থাকলে দুনিয়াটাই বদলে যায়। মনে হয় চারপাশে আলো আর আলো। দুনিয়ায় ওর মতো সুন্দর আর কেউ আছে নাকি?
পিতা মাতার সম্পর্কে যা মনে হয়, বড়রা ছোটদের এসব আবেগ বোঝে না। বাধা তো আসবেই। জীবনে বাবা-মা আছেই ঝামেলা করার জন্য!
তবে বর্তমানে এতে জড়িয়ে পড়ছে তরুণ তরুণীরা। তরুণ বয়সে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি জৈবিক আকর্ষণ স্বাভাবিক। কিন্তু এ আসক্তিকে সংযত করতে না পারলে জীবনের সম্ভাবনা বিকাশের পক্ষে তা প্রতিবন্ধকতা হয়ে দেখা দিতে পারে। তথাকথিত প্রেম নামের জৈবিক আসক্তির কবলে পড়ে কত তরুণ-তরুণী যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জীবনের সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে, নিজের এবং পরিবারের জীবনে বিপর্যয় ডেকে এনেছে তার ইয়ত্তা নেই।
প্রেম পাগলামি বা প্রেমরোগ আসলে মানসিক অসুস্থতারই অন্য নাম। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সংখ্যায় ‘লাভ দা কেমিকেল রি-একশন’ শিরোনামের এক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ইতালির পিসা ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা ডোনাটেলা মারাজিতি তার সহকর্মীদের নিয়ে ২৪ জন নারী-পুরুষের ওপর এক জরিপ চালান। এদের সবাই গত ৬ মাসের মধ্যে প্রেমে পড়েছে এবং প্রতিদিন অন্তত ৪ ঘণ্টা সময় এরা বাস্তবে প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে কাটায়- নয়তো মনে মনে চিন্তা করে। এদের সাথে তুলনা করার জন্যে মারাজিতি বেছে নেন আরো দুটো গ্রুপ। একটি গ্রুপ অবসেসিভ কমপালসিভ ডিসঅর্ডার (ওসিডি) নামে এক মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত। আরেকটি গ্রুপ এ দুটো থেকেই মুক্ত, অর্থাৎ তারা প্রেমেও পড়ে নি এবং মানসিকভাবেও অসুস্থ নয়। পরীক্ষায় দেখা গেল, প্রেমে পড়া আর মানসিকভাবে অসুস্থ দুই গ্রুপের মানুষের মস্তিষ্কেই সেরেটনিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শতকরা ৪০ ভাগ কম। সেরেটনিন হলো মস্তিষ্কের এমন এক নিউরোট্রান্সমিটার যার পরিমাণ কমে গেলেই বিষণ্নতা, অবসাদ, খিটখিটে মেজাজ এবং ওসিডির মতো মানসিক রোগ দেখা দেয়। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, প্রেমে পড়লেও একই অবস্থা হয়। কাজেই যৌক্তিকভাবেই বলা যায়, প্রেমে পড়লে মানুষ আর মানসিকভাবে সুস্থ থাকে না। তার বিচারবুদ্ধি লোপ পায় এবং সে অন্ধ আবেগে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এ আবেগের স্থায?িত্ব আবার খুবই কম। আজকে যাকে না পেলে বাঁচবো না বলে মনে হচ্ছে, বছর না ঘুরতেই মনে হতে পারে যে, তাকে না ছাড়লে বাঁচবো না। ৬ মাস আগেও যে চেহারাটা একনজর দেখার জন্যে অস্থির হতো মন, এখন সে চেহারাটাই হতে পারে সবচেয়ে অসহ্য দৃশ্য। এর কারণ কী? বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এর পেছনে আছে ডোপামাইন নামে এক নিউরোট্রান্সমিটারের ভূমিকা। প্রেমিক বা প্রেমিকাকে দেখলে মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ এই ডোপামাইন দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়। এর প্রভাবে শরীর-মনে তখন সৃষ্টি হতে পারে বাঁধভাঙা আনন্দ, অসাধারণ প্রাণশক্তি, গভীর মনোযাগ ও সীমাহীন অনুপ্রেরণা। এজন্যেই হয়তো যারা সদ্য প্রেমে পড়ে, হঠাৎ করেই তাদের মধ্যে এক ধরনের বেয়াড়া, একগুঁয়ে, দুঃসাহসী চরিত্র ফুটে ওঠে। ঘর ছাড়বে, সিংহাসন ছাড়বে, জীবন দেবে; তবু প্রেম ছাড়বে না- এমনই এক বেয়াড়াপনা দেখা যায় তাদের মধ্যে। বিজ্ঞানীরা বলেন, মাদকাসক্তির সাথে এ অবস্থাটার খুব মিল রয়েছে।
মাদকাসক্তদের কিন্তু মাদক গ্রহণের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলে। কারণ মাদকের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন ব্রেন তাতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে পরিমাণ না বাড়ালে তার নেশা হয় না। প্রেমের ক্ষেত্রেও তা-ই। তীব্র আবেগের আতিশয্য খুব বেশি সময় ধরে থাকে না যদি না নতুন নতুন উত্তেজনা দেয়া না যায়। কিন্তু বাস্তব জীবনে তো আর তা সম্ভব নয়। ফলে অল্পতেই ঘোলাটে হয়ে যায় আবেগের রঙিন চশমা।
আসলে স্বর্গীয়, পবিত্র ইত্যাদি নানারকম বিশেষণ যুক্ত করে যে প্রেমকে মহান বানানোর চেষ্টা চলে তা যে স্রেফ বংশধারা রক্ষার জন্যে নারী-পুরুষের জৈবিক চাহিদারই নামান্তর তা বিজ্ঞানীদের কথায় স্পষ্ট হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, পারস্পরিক আকর্ষণের ক্ষেত্রে একজন পুরুষ বা একজন নারী অবচেতনভাবেই এমন সঙ্গীকে পছন্দ করে, যে তাকে সুস্থ-সবল একটি সন্তান উপহার দিতে পারবে। এক জরিপে দেখা গেছে, মহিলাদের কোমর ও হিপের বিশেষ গড়ন এবং পুরুষদের লম্বা-চওড়া শক্ত গড়ন যা তাদের টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন ক্ষমতা বেশি হওয়াকে নির্দেশ করে, তার ওপর নির্ভর করে কে কতটা আকর্ষণীয় হবে। আর নারী ও পুরুষের এ দুটো বৈশিষ্ট্যই তাদের সন্তান জন্মদানের সামর্থ্যকে সরাসরি প্রভাবিত করে।
এই গত কালের ঘটনা! বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার উদ্দেশে প্রতিদিনের মতো সকালে বের হয় সুমাইয়া আক্তার (১৬)। গ্রামের পথ ধরেই বই-খাতা নিয়ে হেঁটে মাদরাসায় যাচ্ছিল। স্থানীয় সেরার খালের সেতুর এলাকায় পৌঁছালে ঝোঁপের আড়াল থেকে এক যুবক বের হয়ে এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গলায় চালিয়ে দেয় ছুরি। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চেতনা হারায় সুমাইয়া। এ সময় একই পথ ধরে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল গোসিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম। সুমাইয়াকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে সিয়াম। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে সুমাইয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের পাঁচলটিয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত সুমাইয়া আক্তার (১৬) পটকা সিনিয়র আলিম মাদরাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী এবং স্থানীয় পাঁচলটিয়া গ্রামের মো. সেলিম মিয়ার মেয়ে। মাদরাসার সহকারী মৌলভী মো. মোবারক হোসেন জানান, একই মাদরাসার ছাত্র রেদোয়ান দীর্ঘদিন ধরে সহপাঠী সুমাইয়াকে উত্ত্যাক্ত করত। তাকে সতর্ক করা হয় এবং পারিবারিকভাবে শাসন করা হয়। এসব নিয়ে সুমাইয়া কিছুদিন মাদরাসায় আসাও বন্ধ করে দেয়। শ্রীপুর থানা পুলিশের ওসি মো. লিয়াকত আলী জানান, প্রেমঘটিত কারণে স্থানীয় মাটিয়াগাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে রেদোয়ান ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাস জানান, সুমাইয়ার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে সে শঙ্কামুক্ত। গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, প্রেম প্রত্যাখ্যান করার বিষয়টি গলা কাটা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
এই ব্যাপারে অভিভবকদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত নিম্মে আলোচনা করা হল:  কিছুক্ষণ ভাবার সময় নিলেন নাহার সুলতানা (ছদ্মনাম)। বললেন, ‘অস্বীকার করব না, প্রথমে একটু আপসেট হবই। কারণ, এই বয়স তো ভুল করার। হয়তো রাগ হবে। বাচ্চাকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাব। কিন্তু সেটা বাচ্চাকে বুঝতে দেব না। আর তার আবেগকেও অসম্মান করব না। গোপনে খোঁজখবর নেব কার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে সে। সেই সঙ্গী বা সঙ্গিনীটি কেমন, ভালো না মন্দ। বন্ধুর মতো আচরণ করে বুঝে নিতে চাইব তার মনের অবস্থা। খোলাখুলি আলোচনা করার চেষ্টা করব। সম্পর্কটা কতখানি গভীর, তা–ও বোঝার চেষ্টা করব। তারপর বোঝাব যে ঠিক আছে, তোমার সম্পর্ক থাকুক, কিন্তু আরও সময় নাও। একজন অন্যজনকে জানো–বোঝো, বন্ধুর মতো থাকো। পড়াশোনা শেষ করো, নিজের পায়ে দাঁড়াও। তারপর বিয়ের কথা ভাববে। তত দিন আমি তোমার পাশেই আছি।’
‘ঠিক তা–ই’, বললেন এক তরুণ বাবা আনোয়ার সাদি। ‘আমার মেয়ের বয়স এখন পাঁচ। তার সঙ্গে আমি এমন একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলছি, যাতে মেয়েকে বলতে পারি, আমি চাই, তোমার প্রথম প্রেমের খবরটা তুমি সবার আগে বাবাকে জানাবে। হা, হা, হা। দেখুন, ঘরে যদি বন্ধু না থাকে, তবে সন্তান তো ঘরের বাইরে বন্ধু খুঁজবেই আর সেই বন্ধু যে সব সময় সঠিক পরামর্শ দেবে, তা না–ও তো হতে পারে...। ’
এই বয়সের প্রেমে একটা ঝুঁকি থাকে, অনেকে না বুঝে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারে। এটা যাতে না করে, তা নিয়েও সন্তানদের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করা দরকার, যোগ করলেন আরেক মা।
শুধু তা–ই নয়, সন্তানদের সঠিক যৌনশিক্ষাও দেওয়া উচিত। বাংলাদেশের বাবা–মায়েরা সন্তানের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান না। অস্বস্তিতে ভোগেন। কিন্তু সন্তানের নিরাপদ ও সুস্থ জীবনের জন্য জীবনের প্রতিটি ধাপেই তাকে সঠিক শিক্ষা দেওয়া দরকার। অল্প বয়সে প্রেমে পড়ার পর শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় জড়িয়ে গিয়ে সন্তান যাতে বড় কোনো বিপর্যয় ঘটিয়ে না বসে, সে বিষয়েও বাবা-মাকেই লক্ষ রাখতে হবে, বললেন নাহার সুলতানা। টিনএজ রাগ, জেদ আর অভিমানের বয়স। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এ বয়স খুবই স্পর্শকাতর। এ সময় অল্পতেই মন খারাপ হয়, সামান্যতেই মাথা গরম হয়ে যায়। তাই অভিভাবকদেরও থাকতে হয় সতর্ক।
এ বয়সে সন্তান প্রেমে পড়লে উত্তেজিত হয়ে গালমন্দ করা ঠিক নয়। অনেকে ভাবেন, কিছুদিন মোবাইল রেখে দিলে বা ঘরবন্দী করে রাখলে হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এর ফলে আপনার সন্তান বাড়ি ছেড়ে পালানোর মতো ভুল করে বসতে পারে। আবার এ সময় আপনি যদি কোনো কিছু নিয়ে খোঁটা দেন, অপমানসূচক কথা বলেন, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ বা তিরস্কার করেন, তাহলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সন্তানকে ধৈর্য নিয়ে, আদর করে বোঝাতে হবে। সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। তাকে গুণগত সময় দিন। সারা দিন কী করছে, কোথায় গেছে, কী খেয়েছে—এসব খবর রাখুন। তবে সেটা যেন খবরদারি না হয়। সন্তানকে প্রাইভেসি দিন। ওর আবেগকে সম্মান করুন। ওর মনটা বুঝতে চেষ্টা করুন। তার ইচ্ছা–অনিচ্ছাকে গুরুত্ব দিন।
টিনএজ বয়স পার হলে মানুষের মনে অনেক পরিবর্তন আসে। ভালো লাগার পরিবর্তন হয়, ভালোবাসার পরিবর্তন হয়। একসময় যাকে অনেক প্রিয় মনে হয়, পরে আর সেটা তেমন প্রিয় না–ও মনে হতে পারে। তাই টিনএজ প্রেমের সম্পর্কটিকে শুরুতেই কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা না করে ধৈর্য ধরতে হবে। যার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক হয়েছে, প্রয়োজনে তাকে সঙ্গে নিয়ে সম্পর্কটির ভালো-মন্দ যুক্তি দিয়ে আলোচনা করতে পারেন। ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে এই বয়সে পড়ালেখাটাই যে আসল, তা বুঝিয়ে বলতে পারেন। আর সম্পর্কের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার তাদের ওপরই ছেড়ে দিন।
আর সবশেষ কথা, সন্তান যা–ই করুক না কেন, তাকে ভরসা দিন, আপনি সব সময় তার পাশে আছেন। সন্তান যেন উপলব্ধি করে, আপনি তার এমন বন্ধু, যাকে দুঃখ-যন্ত্রণা-পরাজয়-বেদনা এবং হতাশাতেও পাশে পাওয়া যায়।

এই বিভাগের আরো খবর