বুধবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ৩ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪১

মনোহরগঞ্জে কাঁপছে ঠাণ্ডায় বরাদ্দের দিকে তাকিয়ে প্রশাসন

আবু ইউসুফ, মনোহরগঞ্জ কুমিল্লা:

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪  

পৌষের আগেই শীতের দাপটে কাবু কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ। উত্তরের হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। অনুভূত হচ্ছে কনকনে হাড় কাঁপানো শীত।

 

তীব্র ঠান্ডায় গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষজনের জবুথবু অবস্থা। শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত নানা রোগে। কম্বল বরাদ্দ থাকলেও তা এখনো উপজেলায় না আসায় শীতার্তদের সহায়তা করতে পারছেনা উপজেলা প্রশাসন।

 

গত তিন দিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় দেখা মেলেনি সূর্যের। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। কাজকর্মে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। কনকনে শীতে কাঁপা লোকজন বলেন, কয়েক দিনের ঠান্ডায় এখানকার মানুষজন ভীষণ কষ্টে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র পাইনি।

 

এদিকে সূর্যঢাকা কুয়াশা আর শীতের তীব্রতা বাড়ায় ভীড় বেড়েছে  গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। শীতার্ত মানুষেরা সামর্থ্য অনুযায়ী এসব দোকান থেকে গরম কাপড় কিনছেন। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন শীতের কাপড়ের। তাই অনেকে কিনতে না পেরে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

 

অন্যদিকে, বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়ার রেওয়াজ থাকলেও এবার সামাজিক, রাজনৈতিক, মানবিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফ থেকে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক উত্তাপে শীতে বিপর্যস্ত মানুষের কষ্ট গণমাধ্যমেও উঠে আসছে না।

 

প্রতিবছরই শীত মৌসুমে এলাকায় মানুষের কাজের সুযোগ কম থাকে। তবে এবারের শীতে দিনমজুরি কাজের পরিধি অন্য সময়ের চেয়ে কমেছে।

 

এ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দরকার মানবিক সহয়তা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঝড়-বৃষ্টি কিংবা বন্যা ঘিরে সরকারের বড় প্রস্তুতি থাকলেও শীতে তা দেখা যায় না। কারণ, শীতকে সরকারিভাবে এখনও ‘দুর্যোগ’ ঘোষণা করা হয়নি। শীত ঘিরে রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিকল্পনা, বাজেট প্রণয়ন কিংবা কোনো নীতিমালাও নেই।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহরিয়া ইসলাম বলেন তীব্র ঠাণ্ডায় এখানকার দরিদ্র মানুষজন কষ্ট পাচ্ছেন, তাদের পাশে সকল বিত্তবানদের দাঁড়ানো উচিত। সরকারিভাবে শীতার্তদের জন্য কম্বল বরাদ্দ রয়েছে, এখনো আমরা সেগুলো পাইনি, পেলে আমরা বিতরণ করতে পারবো।

এই বিভাগের আরো খবর