সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪০২

ভারতের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির তীব্র সমালোচনা করলেন অমর্ত্য সেন

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  

ভারতের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন সে দেশের নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। শনিবার সন্ধ্যায় এক ওয়েবিনারে তিনি বলেছেন, নয়া শিক্ষানীতিতে কেবল সনাতন হিন্দুত্বকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। উপেক্ষা করা হয়েছে লোকায়ত-চার্বাক কিংবা মুসলিম পরম্পরা। তবে প্রাচীন ভারত মানেই হিন্দুত্ব নয়।

প্রায় ৩ যুগের ব্যবধানে সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১৯৮৬ সালে গৃহীত শিক্ষানীতির পরিবর্তে নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছে। গত ২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই খসড়া গ্রহণ করেছে। শিক্ষানীতির খসড়া তৈরির সময় বিজেপির ভাবাদর্শিক সহযোগী আরএসএস-এর বেশ কয়েকটি সহযোগী সংস্থা জড়িত ছিল। শিক্ষার্থীদের ওপর কোনও ভাষা চাপিয়ে না দেওয়ার পরামর্শ থাকলেও নয়া শিক্ষানীতিতে সনাতন সংস্কৃত ভাষাকে উৎসাহিত করার কথা বলা রয়েছে।

শনিবার প্রতীচী ট্রাস্টের উদ্যোগে আলোচনাচক্রে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘প্রাচীন ভারতের আদর্শ বলতে শুধু সনাতন শিক্ষার কথা মনে রাখব, কিন্তু ভারতের সামগ্রিক ইতিহাসের ধারা উপেক্ষা করব, এটা ঠিক নয়!’ ভারতের ভাবাদর্শের এই বহমানতা প্রসঙ্গে চার্বাক দর্শন থেকে মুসলিম প্রভাবের কথাও মনে করিয়ে দেন অমর্ত্য। বলেন, ‘প্রাচীন ভারতে সনাতন ধর্ম যেমন ছিল, তেমনই লোকায়ত বা চার্বাকের পরম্পরাও ছিল। তার মধ্যে ঈশ্বরহীনতা, ধর্মহীনতা বা ধর্মবিরোধিতা এবং সম্পূর্ণ যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণও গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের আদর্শের প্রতি একনিষ্ঠ হওয়া কখনওই সেই আদর্শের একটি ধারার প্রতি একনিষ্ঠ থাকা নয়।’ তিনি বলেন, ‘‘এ দেশে মুসলিম প্রভাবও গুরুত্বপূর্ণ। আবার প্রাচীন হিন্দু ভারতেও গোটা দেশ, বিশেষত বাংলা বা আসাম এক রকম ছিল না।’’

নয়া শিক্ষানীতিকে পক্ষপাতমূলক আখ্যা দিয়ে অমর্ত্য বলেন: পশ্চিমা দেশগুলির স্কুলশিক্ষা শুধু বাইবেলের গসপেল আঁকড়ে বসে থাকা নয়, গ্যালিলিয়োর মতো বিজ্ঞানীদের কথাও তাতে গুরুত্বপূর্ণ।

এই বিভাগের আরো খবর