বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৯ ১৪৩২   ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১১৪

‘বিএনপি নেতাদের ভয় দেখাতেই মামলা সচল’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২২  

শীর্ষ কয়েকজন নেতার দুর্নীতি মামলা সচল হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে দেখছেন বিএনপির আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, গণজোয়ার দেখে আন্দোলন দমাতে ভিন্ন কৌশল নিয়েছে সরকার।

আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সবকিছু হচ্ছে আইনি প্রক্রিয়ায়। দুর্নীতির অভিযোগ উঠা ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পরিচয় দেখা হয় না বলেও মন্তব্য করেন সংস্থাটির আইনজীবী।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম দুই সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং মির্জা আব্বাস। সম্প্রতি আব্বাসের বিরুদ্ধে হওয়া ১৬ বছর আগের দুর্নীতির এক মামলা সচলের আদেশ এসেছে সর্বোচ্চ আদালত থেকে। এর আগে চালু হয় মোশাররফ হোসেনের দুর্নীতির মামলাটিও।

সাড়ে ৭ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলাটি হয় এক এগারোর সময়। বর্তমানে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষপর্যায়ে রয়েছে। আর মোশাররফের মামলাটি হয় অর্থপাচার আইনে ২০১৪ সালে রমনা থানায়। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সাড়ে ৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের। এ মামলাটিতেও চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ।

এ ছাড়া একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। সাড়ে চার বছরে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগগতি না হলেও ফাইলটি এখন সচল। দলটির আইনজীবী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয় দেখাতেই মামলা সচলের এমন উদ্যোগ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সময় সংবাদকে বলেন, ‘‘তারা চায় (সরকার) যে বিএনপির কিছু নেতাকে জেলে কারাবন্দি করতে। এটা শুধু বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো ছাড়া কিছুই না।

এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। মামলার সঙ্গে আন্দোলন, নির্বাচন মেশানোর সুযোগ নেই বলেও মনে করেন তিনি।
দুদক আইনজীবী আরও বলেন, সরকার (ক্ষমতাসীন) বলছেন কেন? এ মামলায় সরকার কোনোদিন ছিল না। বিচারিক আদালতে নেই, হাইকোর্টে নেই এবং আপিল বিভাগেও নেই। দুদক আসামি চিনে, কিন্তু দল চিনে না।

তিনি জানান, মামলার বিচার বাধাগ্রস্ত করতে একটার পর এক আবেদন করে সময়ক্ষেপণ করেছেন বিএনপি নেতারা।

এই বিভাগের আরো খবর