বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের উৎপত্তি

ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, জনাব শরীফ আহমেদ এম.পি। এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ফুলপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পু®পস্তবক অর্পণ করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এম.পি। 
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন দারির্দ্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন দেখতেন। আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় জাতির পিতার হাত ধরেই স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের উৎপত্তি। স্বাধীনতার পরে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু সকল সেক্টরে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেন। পূর্ত প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অর্জিত সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্র স্বাধীনতাকে অর্থহীন প্রমাণ করতে বিভিন্ন চক্রান্তে লিপ্ত হয়। এর অংশ হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন, জাতির পিতার অকাল প্রয়াণে দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে। কিন্তু পরবর্তীতে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়। সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে দারির্দ্যের হার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। দেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। এতসব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং নিরলস পরিশ্রমের ফলে। তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা দিনরাত পরিশ্রম করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং বিপুল সংখ্যক জনতার মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।