বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৫৪৬

পেঁয়াজের দাম বাড়ছেই!

রুহুল আমিন

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৯  

 

নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। গতকাল সোমবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ এক দিন আগেও সব ধরনের পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। গতকাল নতুন করে আবার পেঁয়াজের দাম বাড়ার তথ্য তুলে ধরেছে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি)।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারত থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে ৬৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৫ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে। বাকি পেঁয়াজ এখনো আসেনি। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ কারণে গত কয়েক দিন বন্দর থেকে পেঁয়াজ খালাস ব্যাহত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পেঁয়াজের বাজারে। ফলে নতুন করে দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির।

উল্লেখ্য, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর মিশর, মিয়ানমার, তুরস্ক, চীন ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে মিশর ও মিয়ানমার থেকে। তবে তা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়।

পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। তাই আবার দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, দেশি পেঁয়াজের মজুত শেষের দিকে। মিয়ানমার থেকে যে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে, তার মান ভালো না। তবে ভারতের পেঁয়াজ এলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশা করছি, ডিসেম্বরে নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসবে। এই পেঁয়াজ বাজারে এলেই দাম কমে যাবে।

পাকিস্তান থেকে ৩০০ টন পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানে পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত পৌঁছাতে বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়বে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা।

এই বিভাগের আরো খবর