মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১   ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৯৬

দেশের ব্যাংকিং খাতকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে মেঘনা ক্লাউড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২৩  

ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ হয়ে বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণের পথে হাটছে। আর্থিক লেনদেনের জন্য বাংলাদেশে বর্তমানে ৬১ টি তফসিলি ব্যাংক এবং ৫ টি অ-তফসিলি ব্যাংক রয়েছে। এছাড়া ৩৫ টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কাজ করছে যার প্রথমটি ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ছাড়াও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দুটি স্টক এক্সচেঞ্জের অধিনে বর্তমানে ডিএসই এবং সিএসই এর যথাক্রমে ২৩৮ এবং ১৩৬ সদস্য রয়েছে। তাছাড়া আর্থিক লেনদেন এবং নিষ্পত্তির জন্য একমাত্র ডিপোজিটরি সিস্টেম, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ২০০০ সালে গঠিত হয়েছিল যা ডিপোজিটরি অ্যাক্ট ১৯৯৯, ডিপোজিটরি রেগুলেশন ২০০০, ডিপোজিটরি (ব্যবহারকারী) রেগুলেশন ২০০৩ এবং সিডিবিএল উপ-আইনের অধীনে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে।

মোবাইল ব্যাংকিং জনগনের মুঠোফোনে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে যা আমাদের সরকারের দিন বদলের সনদের একটি সাফল্যের কাহিনী। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এবং আমরা বাংলাদেশের শতকরা ৪০% এর বেশি মানুষকে পর্যায়ক্রমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মধ্যে আনতে সক্ষম হয়েছি। সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে আমরা শতভাগ মানুষকে পর্যায়ক্রমে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে বদ্ধ পরিকর।

বর্তমান সময়ে ক্লাউড প্রযুক্তি একটি বিশাল সম্ভাবনাময় খাত, যা তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোকে একটি ভিন্ন উচ্চতার মাইলফলকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অ্যামাজন, গুগোল, মাইক্রোসফট এজুর, আলিবাবা ও বিভিন্ন ক্লাউড পৃথিবীর সকল প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মকে তাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এরা অনেকে আমাদের বাংলাদেশ সরকারের থেকে বেশি রাজস্ব আয় করে থাকে এবং এদের সাথে প্রতিযোগিতা করা ছিল দুষ্কর।

অতঃপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপের কারণে এখন সামনে আমাদের নিজেদের আন্তর্জাতিক মানের টায়ার-৪ ডাটা সেন্টারের পাশাপাশি একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্লাউড বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি আমরা। এই মেঘনা ক্লাউড আমাদের সরকারের আইসিটি ডিভিশনের ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড এবং জেননেক্সট টেকনোলোজিস লিমিটেডের যৌথ অংশীদারিত্বের ফসল। আমাদের বাংলাদেশের অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন ও মেধারি প্রকৌশলীরা ওপেন সোর্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মানের একটি ক্লাউড নির্মাণ করছে।

ব্যাংকিং খাত মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ নিয়ে কাজ করে এবং পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য ব্যাংকিং অবকাঠামোকে উচ্চ স্তরে আপগ্রেড করতে আমাদের অবশ্যই ক্লাউড প্রযুক্তির ব্যপারে চিন্তা শুরু করতে হবে। মেঘনা ক্লাউড আপনাদের এই যাত্রায় সাহায্য করতে পারবে আমাদের বিশ্বাস । একসাথে আমরা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ভবিষ্যতের জন্য জাতিকে নির্দেশনা দিতে পারি।

এই বিভাগের আরো খবর