সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৮৮

দেশের প্রথম ‘হাইব্রিড সোলার-উইন্ড টাওয়ার’ স্থাপন

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০২০  

দেশে প্রথমবারের মতো ‘হাইব্রিড সোলার-উইন্ড টাওয়ার’ সল্যুশন স্থাপন করলো সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা কম্পানি ‘ইডটকো বাংলাদেশ’। ৭৫ মিটার লম্বা এই টাওয়ারটি স্থাপন করা হয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত দ্বীপ হাতিয়ায়। প্রত্যন্ত এই দ্বীপটিতে কোনো বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় এবং তীব্র জোয়ারের ঝুঁকির কারণে এই এলাকার সাথে সংযোগ রক্ষা করাও খুব কঠিন।

ইডটকো বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের যেসব এলাকা জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেসব এলাকায় প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই এটি তৈরি করা হয়েছে।

উদ্ভাবনী, টেকসই এবং বিদ্যুৎ-সাশ্রয়ী সল্যুশন স্থাপনের মাধ্যমে টেলিকম টাওয়ারগুলোতে বিকল্প শক্তি ব্যবহার করে দেশজুড়ে নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে যে প্রচেষ্টা ইডটকো চালিয়ে যাচ্ছে, এই উদ্যোগটি তারই অংশ।

উদ্ভাবনীমূলক এই টাওয়ারটি একটি স্থায়ী গ্রিন হাইব্রিড এনার্জি সল্যুশন দিয়ে গঠিত, যার সর্বোচ্চ ১২ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার থেকে দৈনিক প্রতি ঘণ্টায় ৪২ কিলোওয়াট এবং টাওয়ারের মাথায় বসানো ৪ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বায়ু ঘূর্ণিযন্ত্র থেকে দৈনিক ঘণ্টায় ৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম এবং এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব। এভাবেই পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করার মাধ্যমে হাইব্রিড পাওয়ার প্ল্যান্টটি টেলিকম সিস্টেমকে সারা বছর সক্রিয় রাখবে।

নবায়নযোগ্য এই এনার্জি সল্যুশনটি ডিজেলের ব্যবহার কমানোসহ সার্বিকভাবে টাওয়ার রক্ষণা-বেক্ষণের খরচ কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি প্রকৃতিবান্ধব এই সল্যুশনটি শতকরা ৮০ ভাগ পর্যন্ত কম  কার্বন নিঃসরণ করবে।

এই হাইব্রিড সিস্টেমটির কিছু বিশেষত্ব হচ্ছে- এতে আছে ৩৬০ ডিগ্রি কোণ থেকে বাতাস ধরার জন্য উল্লম্ব অক্ষের উইন্ড টারবাইন; এতে চাহিদা অনুযায়ী শক্তি পরিমাপ করা যায়। যন্ত্রাংশ লাগানোসহ সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণ তুলনামূলক সহজ। পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণে কম খরচ হয় এবং এটি পরিবেশবান্ধব এবং নিঃশব্দে চলে।

এ বিষয়ে ইডটকো বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন বলেন, সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে যেকোনো দূরবর্তী অবস্থান কিংবা অর্থনৈতিক অবস্থার সব জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ইডটকো কাজ করে। কম্পানির নিজস্ব বিশ্বাসের জায়গা থেকেই আমরা এটা করে থাকি। আর এ ধরণের সল্যুশন আমাদেরকে ওইসব সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সংযোগের আওতায় আনার সুযোগ করে দেয়, সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য যাদের এটি ভীষণ প্রয়োজন। এসব জনগোষ্ঠীর চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমরা এমন সব সল্যুশন দেওয়ার চেষ্টা করি, যেগুলো গুণমানে টেকসই এবং তাদের জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে সাহায্য করে।

ইডটকো গ্রুপর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’র ডিরেক্টর আইআর কুমারী নলিনী বলেন, পরিবেশের উপর আমাদের প্রভাব কমানোর করার পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব টেকসই অবকাঠামো তৈরিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই বিভাগের আরো খবর