জাপানের পরিত্যক্ত দ্বীপ হাসিমা
রাজ চৌধুরী
প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০১৮
কোনো এক কালে প্রায় ছয় হাজার মানুষের বসতি ছিলো জাপানের বিখ্যাত এই পরিত্যক্ত দ্বীপটিতে। দ্বীপটিতে ১৫ টি এপার্টমেন্ট আর প্রায় ১০০টি ছোট দোকান ছিলো। দ্বীপের উপর থেকে দেখলে এখনো মনে হবে নিশ্চয় এখানে মানুষের বসবাস আছে। কিন্তু বাইরে থেকে যা দেখতে পাওয়া যায় আসলে তা না। সেখানে কোনো মানুষের বসবাস নেই। নাগাসাকি থেকে মাত্র নয় মাইল দূরে অবস্থিত দ্বীপটি একসময় কয়লা উত্তোলনের জন্য বিখ্যাত ছিলো যা জাপানের শিল্পায়নের সঙ্গে যুতসই ছিলো।
হাসিমা দ্বীপটি গুনকানজিমা নামেও বেশ পরিচিত। গুনকানজিমা অর্থ হচ্ছে যুদ্ধজাহাজ দ্বীপ। কারণ বাইরে থেকে এই দ্বীপটি দেখতে ঠিক একটা যুদ্ধজাহাজের মতোই। দ্বীপটিতে ১৮৮৭ সাল থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। জাপানের মিৎসুবিসি ১৮৯০ সালে দ্বীপটি ক্রয় করে নেয় এবং সমুদ্রের নিচের খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করে। প্রায় ১৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করে জাপানের এই কোম্পানিটি। তখন এই হাসিমা দ্বীপের উত্যোলিত কয়লা জাপানের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখে। পরবর্তী ৫৫ বছরে এখানে থাকা উত্তোলক ও তাদের পরিবারের সুবিধার্থে অনেক এপার্টমেন্ট, স্কুল, হাসপাতাল, টাউন হল ও একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মিত হয়। তাছাড়াও বিনোদনের জন্য একটি ক্লাব হাউস ও সিনেমা হল পর্যন্ত নির্মিত হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চাইনিজ বন্দীদের এখানে অনেক কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হয়। তাদের জোরপূর্বক দ্বীপটিতে রেখে শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো হতো। সেই শ্রমিকরা অনেক দুর্যোগপ্রবণ অবস্থায় খনিতে কাজ করতো। তাছাড়াও তারা নিজেদের ন্যায্য অধিকার না পাওয়ার কারণে অপুষ্টিজনিত অনেকেই মারা যায়। তাছাড়াও অনেকে সুমুদ্রের নিচ থেকে কয়লা উত্তোলনের সময় দূর্ঘটনায় পানির নিচেও মারা যায়। তখন সেখানে শ্রমিকদের উপযোগী তেমন কিছুই ছিলো না। উলটো তাদের ছিলো দুর্ভোগ। সেখানে প্রায় এক হাজার শ্রমিক মারা যায়। অনেকের মতে এই সংখ্যা আরো বেশি (প্রায় ১৩০০ শ্রমিক)। ১৯৬০ সালের দিকে পেট্রোল জ্বালানী হিসেবে কয়লার স্থান দখল করলে এই জায়গাটি আগের মতো গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। তাই কোম্পানিও এখানের শ্রমিকদের রেহাই দেয়। তখন সবাই দ্বীপটি ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমায়।
ঐতিহাসিক হাসিমা
ইউনেস্কো ২০১৫ সালে এই পরিত্যক্ত দ্বীপটিকে বিশ্বের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ হিসেবে ঘোষনা দেয়। বর্তমানে পর্যটকরা সেখানে ঘুরতে যান। জাপানের এই দ্বীপটি একই সঙ্গে জাপানের অর্থনৈতিক অগ্রহতির সহায়ক এর পাশাপাশি অনেক শ্রমিকের নির্মম মৃত্যুর জন্য সর্বত্রই স্মরণীয়।
হাসিমা দ্বীপের উত্থান পতন
১৮০০ সালের শুরুর দিকে এই দ্বীপের কাছে প্রায় ১৬ একর জায়গায় কয়লার খনি আবিষ্কৃত হয়। সেই সময় পশ্চিমা বিশ্বের সমৃদ্ধ ও দ্রুতগতির সঙ্গে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে তাল মেলানোর জন্য জাপান কয়লা উত্তোলনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাছাড়াও কয়লাই ছিলো তখনকার প্রধান জ্বালানী। তাই এই দ্বীপটি ছিলো জাপানের অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদস্বরুপ। ১৮৯০ সালে মিৎসুবিসি এই দ্বীপ ক্রয় করার পর অনেক স্থাপনা তৈরি হতে থাকে। তখন এই হিসিমা দ্বীপই ছিলো জাপানের অন্যতম প্রধান সমুদ্রের নিচে থাকা কয়লা খনি। ১৯১৬ সালে প্রথম এখানে ৮তলা এপার্টমেন্ট তৈরি করা হয়। এর প্রধান লক্ষ্য ছিলো দ্বীপটির শ্রমিকদের টাইফুন ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো। ১৯৫৯ সালের দিকে এই দ্বীপের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ প্রায় ছয় হাজারে উন্নীত হয়। ঠিক তার পরেই ১৯৬০ সালে পেট্রোল জ্বালানী হিসেবে কয়লা স্থান দখল করে। ১৯৭৪ সালের জানুয়ারিতে মিৎসুবিসি কোম্পানিটি চিরতরে এই জায়গা থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। শ্রমিকরা কাজ না পেয়ে দ্বীপটি চিরতরে ত্যাগ করে। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই পুরো দ্বীপটি জনমানবশূন্য হয়ে যায়।
নতুন আগ্রহের কেন্দ্র হাসিমা!
অনেক আগেই সবাই এই দ্বীপটি পরিত্যাগ করলেও মিৎসুবিসি কোম্পানিটি এখনো এই দ্বীপের মালিকানা রাখে। ভাঙ্গা দেয়ালগুলোকে পুনঃনির্মাণ করে এখানে পর্যটকদের আসার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্বীপটির প্রাচীন ঘরবাড়িগুলো ও সমুদ্রের সৌন্দর্য পর্যটকদের আগ্রহের স্থান। তাছাড়াও এই দ্বীপটির স্থাপনা সবগুলোই প্রাচীন রোমান স্থাপনার আদলে নির্মিত হওয়ায় বাইরের পর্যটকদের কাছেও অনেক জনপ্রিয়। ২০১১ সালের একটি গবেষণার পর জানা গেছে, হাসিমা দ্বীপটির ক্ষয় হওয়া স্থাপনাগুলো টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
- প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
- গাজীপুরে জয়দেবপুর থানার পৃথক অভিযানে গ্রেফতার ১২
- নাটকের গানে প্রথমবার অন্যের সুরে আরফিন রুম
- রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ দফা
- আমিরাতে আরও ৩০০ বাড়ির সন্ধান সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের
- সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করার সিদ্ধান্ত
- পিএসসির সচিব ওএসডি, নতুন সচিব সানোয়ার জাহান
- বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম
- নগরে তিন দিনে গ্রেপ্তার ৫৯ : সিএমপি
- বড়লেখায় প্রশাসন ও নিসচার যৌথ উদ্যোগে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন
- আরও গভীর সম্পর্ক চায় আজারবাইজান ও বাংলাদেশ
- আন্দোলনে নিহতদের পরিবার-আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
- বঙ্গভবন মোড়ে জনতা, পুলিশ-সেনাবাহিনীর এপিসি-জলকামান মোতায়েন
- বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের সিন্ধান্ত প্রত্যাহার
- বিশ্ব ইজতেমা আগামী জানুয়ারিতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- সম্পত্তি আত্মসাৎ ভাইয়ের মেয়েকে বিয়ের দাবি করা সেই ইউপি গ্রেপ্তার
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রল, নিজেকে সামলাবেন যেভাবে
- ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ আতঙ্কে ওড়িশায় বন্ধ স্কুল, সতর্কতা পশ্চিমবঙ্গেও
- প্রতিদিন পেস্তা বাদাম খাবেন যে কারণে
- বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
- শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৫০ এসআইকে অব্যাহতি
- এক বছর পর মাঠে ফিরে ‘খুবই খুশি’ নেইমার
- ব্যারিস্টার সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
- যেভাবে রণবীর কাপুর থেকে রণবীর সিংয়ের জীবনে দীপিকা
- মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে এলো ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ
- নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলল
- ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যুক্ত করা হলো শিক্ষার্থীদের
- নম্রতা মুমিনের ভূষণ
- প্রাকৃতিক ও সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহারে দেশ আর গরিব থাকবে না
- বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতায় ফুলেফেঁপে উঠছে ভারতের তৈরি পোশাক খাত
- গাজীপুরে শ্রমিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগ
- গাজীপুরে শ্রমিকদের অর্থ প্রদানকে ঘিরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি: প্রতিবাদ
- পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে
- সবার সহযোগিতা চাইলেন তরুণ কন্ঠে" স্টাফ রিপোটার মনিরুল
- ১১ ল্যাডার পেলো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স
- ২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ
- আবাসিক হোটেলের কক্ষে ঝুলে ছিল ম্যানেজারের মরদেহ
- সম্পত্তি আত্মসাৎ ভাইয়ের মেয়েকে বিয়ের দাবি করা সেই ইউপি গ্রেপ্তার
- কষ্ট পুষে রাখা মানুষটি নেই ছয় বছর
- ডেঙ্গুতে আরো ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২৯৮
- মাদরাসা বোর্ডে দেশসেরা ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদরাসা
- এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ
- কাঁচা মরিচের দাম পাইকারিতে কমলেও খুচরায় কেজি ৫০০ টাকা
- ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে: আসিফ নজরুল
- বুধবার থেকে ডিমের নতুন দাম কার্যকর হবে : ভোক্তা ডিজি
- চট্টগ্রামের আড়তে ডিম ১২ টাকা ৭০ পয়সা!
- ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫ ৯৩ টন কাঁচামরিচ আমদানি
- আমরা চাই ফিলিস্তিন পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে বিশ্বের বুকে দাঁড়াক
- সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার
- ফ্যাসিবাদের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হলে জাতিকে মাশুল দিতে হবে
- যে কারণে মেয়েরা বিয়ের আগে মিলনের জন্য রাজি হয়
- দ্রুত গর্ভবতী হতে চাইলে যে উপায়গুলো অনুসরন করবেন
- ফার্মেসীতে বিক্রি হওয়া কিছু ওষুধে মিলছে ইয়াবার উপদান
- শিশুদের হাতে বিপদজনক এই গ্লো-স্টিক ললিপপ
- সুইমিং পুলে রোমান্টিক সহবাস!
- কেটে গেলে রক্তপাত বন্ধের ঘরোয়া উপায়
- যৌন মিলনে ওযুধ খেলে যা হবে!
- মহিলাদের যৌন সুখ বাড়াবে ‘ফোরিয়া’
- লেবুর রসেই দূর হবে কিডনির পাথর
- ঘুমের মধ্যে মেয়েদের লালা ঝরে?
- অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার সাঈদী মারা গেছেন
- কম সময়ে ওজন কমাতে যেভাবে রসুন খাবেন
- ইতিহাসের বর্বরতম নগরী পম্পেই
- পাঁচ পরিস্থিতিতে যৌনতা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল!
- বিছানায় রক্তের দাগ না পেলে নববধূকে জুতাপেটা!