সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১০৩

চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে শীর্ষে ইমরুলের শেখ জামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক  

প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২২  

বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে রসুলের ঘূর্ণি জাদুতে মাত্র ১৭৭ রানে গুটিয়ে যায় চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। মাত্র ২৯ রানে ৫ উইকেট নেন রসুল। পরে রবিউল রবির অপরাজিত ফিফটির সুবাদে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮ বল আগেই ম্যাচ জিতে নেয় শেখ জামাল।


এই ম্যাচের পর লিগের আট ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে উঠে গেছে শেখ জামাল। দুইয়ে থাকা প্রাইম ব্যাংকের ঝুলিতে রয়েছে ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট। আবাহনী ৮ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আবাহনী।

মাত্র ১৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খানিক বিপদেই পড়ে গিয়েছিল শেখ জামাল। শুরুর দিকের ব্যাটাররা সবাই ভালো শুরু পেলেও, কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফলে ৩৯ ওভার শেষে ৫ উইকেটে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৮ রান।

সৈকত আলি ১৯, সাইফ হাসান ২৪, ইমরুল কায়েস ২৬, জহুরুল ইসলাম ২১ ও পারভেজ রসুল আউট হন ১০ রান করে। এরপর আর বিপদ ঘটতে দেননি রবিউল ইসলাম রবি ও তাইবুল পারভেজ। এ দুজনের ৯.৪ ওভারে ৪৬ রানে জুটি শেখ জামাল ম্যাচ জিতে নেয়।

অপরাজিত ইনিংসে ৫ চার ও ২ ছয়ের মারে ৮৮ বলে ৫৭ রান করেন রবি। অন্যদিকে ২৫ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন তাইবুর পারভেজ। আবাহনীর পক্ষে আফিফ হোসেন ধ্রুব নেন ২টি উইকেট। তানভির ইসলাম ১০ ওভারে দেন মাত্র ১৩ রান।


এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মুনিম শাহরিয়ারের ব্যাটে ভালো শুরু করেছিল আবাহনী। নাইম শেখকে নিয়ে ৩০ বলে ৩০ রানের জুটি গড়েন এই ওপেনার। নাইম অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। ১৪ বল খেলে করেন ৭ রান।

তাকে দিয়ে পারভেজ রসুলের শুরু। এরপর স্বদেশি হনুমা বিহারিকে ১ রানের সাজঘরের পথ দেখান ভারতীয় অফস্পিনার। আবাহনীর বিপর্যয় শুরু হয় মুনিম শাহরিয়ার ২৮ বলে ২৫ করে রসুলের বলে স্ট্যাম্পিং হলে।

মোসাদ্দেক সৈকত কিছুটা সময় হাল ধরেছিলেন। তবে ৩০ বলে ২২ করে ফিরতে হয় তাকেও। এরপর আফিফ হোসেন ৫ বলে ২ করলে ৮১ রানের মধ্যে ইনিংসের অর্ধেকটা হারিয়ে বসে আবাহনী।

সেই জায়গা থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন জাকের আলি আর শামীম পাটোয়ারী। একটা সময় ১৩৬ রানে ৫ উইকেট ছিল আবাহনীর। তখনও চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

কিন্তু জাকের ৩২ করে আউট হতেই সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। ফিফটি করে সাজঘরের পথ ধরেন শামীমও। ৭২ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫১ করে রানআউটের কবলে পড়েন শামীম। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ব্যক্তিগত ৫ রানে রানআউট হন। ফলে ১৭৭ রানেই থামে আবাহনীর ইনিংস।

পারভেজ রসুল ২৯ রান দিয়ে একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। ২৩ রানে ২ উইকেট শিকার সানজামুল ইসলামের। 

এই বিভাগের আরো খবর