মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৯ ১৪৩২   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৫১

ফরিদপুরে হামলা, আহত ৫০

গণঅবস্থান থেকে নতুন কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২৩  

সরকারের পদত্যাগ, একাদশ সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন করছে বিএনপি। এরইমধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের দুটি কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। গতকাল ঢাকাসহ ১০টি বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। একই কর্মসূচি রাজধানীতে পৃথকভাবে পালন করে সরকারবিরোধী দল ও জোটগুলো। এদিন যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং বিদ্যুতের মূল্য কমানোর দাবিতে আগামী ১৬ই জানুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশে মিছিল-সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। দুপুরে নয়াপল্টনে গণঅবস্থান কর্মসূচির সমাপনী বক্তব্যে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৬ই জানুয়ারির কর্মসূচি ঘোষণা করেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার দুই দিনের মাথায় সরকার পতনের দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দলের ঘোষিত ১০ দফা এবং বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে সারা দেশে আগামী ১৬ই জানুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে বিএনপি। ওইদিন সারা দেশে জেলা শহর, উপজেলা, পৌরসভা, থানা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ এখন সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে। সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা এখন পুলিশ ও আমলাদের ওপর নির্ভর করে রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে আছে। সারা দেশের জনগণ জেগে উঠেছে। আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এই আন্দোলন আজকের নয়, এই আন্দোলন শুরু হয়েছে যখন থেকে বেআইনিভাবে দুই দুবার ভোট ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে বেআইনিভাবে জোর করে তারা ক্ষমতা দখল করেছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আমাদের সহকর্মী, বন্ধু- যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন, তাদের প্রায় ৬শ’ নেতাকর্মী অবর্ণনীয় এবং অমানবিক কারা নির্যাতন করে সেখানে অপেক্ষা করছেন। তারা আজকে এই কর্মসূচির দিকে তাকিয়ে আছেন। এই কর্মসূচিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে এদেশ এবং তাদেরকে মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, চলমান এই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। আজ ফরিদপুরে আমাদের যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছিলো- সেখানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হামলা করে সেই মিটিং পণ্ড করে দেয়ার চেষ্টা করেছে। পুলিশ গুলি চালিয়েছে, আহত হয়েছে অনেকজন। আর ময়মনসিংহে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা করেছে। 
১০ দফা ও ২৭ দফা রূপরেখার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে ফেলেছে। এই সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আর এই সরকার সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিপরায়ণ, জনবিচ্ছিন্ন এবং নির্যাতনকারী সরকার হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতাকে দখল করে রেখেছে। তাই আমরা রাষ্ট্র মেরামতের কথা বলছি।

তিনি বলেন, এই সরকার দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আমরা কি সেটি হতে দেবো। সেজন্য আমাদের আরও বেশি করে জেগে উঠতে হবে। আপনারা জেগে উঠেছেন। বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এখন সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদেরকে জাগিয়ে তুলে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সুসংবাদ হচ্ছে এটাই যে, আজকে বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা এবং সুশীল সমাজ এগিয়ে আসতে শুরু করেছেন। আজকে অন্যায় হচ্ছে তার বিরুদ্ধে তারা (বাংলাদেশের বরেণ্য নাগিরক) ৬০ জন বিবৃতি দিয়েছেন। তাদেরকে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমাদের মিডিয়া ও গণমাধ্যমের সকল কর্মী ভাইদের। তারা জনগণের আন্দোলনের খবর প্রচার করে তাদেরকে জাগিয়ে তুলছেন। 

ঢাকায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ১০ দফার মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চাই। দেশের মানুষ সোচ্চার হয়েছেন। আওয়াজ তুলেছেন। এই সরকার আর রাষ্ট্রকে মেরামত করতে পারবে না। মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার আমাদের ১০ দফা মানবে না। তাই এই সরকারকে আমরা দেখতে চাই না। আন্তর্জাতিকভাবেও চায় না। সুশৃঙ্খল কর্মসূচি পালন করার মধ্যদিয়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে আমরা রাষ্ট্র মেরামত করবো। 

সদ্য কারামুক্ত বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, সরকারকে টোকা বা ধাক্কা দিয়ে ফেলতে চাই না। সরকার অযথা আতঙ্কে ভুগছে। কোনো বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি বিএনপি চায় না। সঠিক নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে চাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকারের বিদায় ঘটবে।

তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ নেতা) উস্কানি দেবেন না। তাহলে ফল ভালো হবে না। জোর করে ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ। ১০ দফা মেনে নির্বাচনে আসেন। আপনারা জিতলেও আপত্তি নেই। বিএনপি’র কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করে আব্বাস বলেন, জেলখানায় আর জায়গা নেই। রাজনৈতিক কর্মীদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। দু’জনের সেলে সাত-আটজন করে রাখা হচ্ছে। বিএনপি’র নেতাদের জেলে ভরে, মামলা দিয়ে, গুম খুন করে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় টিকে আছে এই সরকার।

গত ১০ই ডিসেম্বরে গণসমাবেশের দুই দিন আগে গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে আফসোস নেই। গণসমাবেশের প্রস্তুতি শেষ করে বাড়িতে ফিরে গ্রেপ্তার হই। যখন শুনেছি গোলাপবাগে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশের জায়গা ঘোষণার আধা ঘণ্টার মধ্যে সমাবেশস্থল ভরে গেছে। আফসোস নেই, দুঃখ নেই। গণঅবস্থান থেকে নেতাকর্মীদের সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকারি দলের নেতারা মঞ্চ ভেঙে পড়েছেন, এই সরকারও কাচের মতো ভেঙে পড়বে। গণঐক্য তৈরি করতে হবে। সেখান থেকেই হবে গণঅভ্যুত্থান। বিএনপি’র ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হলে পদত্যাগ করবে। তা না হলে জনগণ সংসদ ভবন থেকে সংসদ সদস্যদের বের করে আনবে। সচিবালয় থেকে মন্ত্রীদের বের করে আনবে। গণভবন থেকে শেখ হাসিনাকেও বের করে আনবে।

ঢাকা বিভাগীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিএনপি’র নেতা মির্জা আব্বাস, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, নবী উল্লাহ নবী, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, শিরিন সুলতানা, রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নয়াপল্টনে পূর্বঘোষিত গণঅবস্থান কর্মসূচির পালনে গত মঙ্গলবার রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি পায় বিএনপি। গতকাল ভোর থেকেই জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। সকাল ৮টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টন ও তার পার্শ¦বর্তী এলাকায় অবস্থান নেন তারা। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে একপাশে পলিথিন ও মাদুর বিছিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি’র বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় সড়কের একপাশ। নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত সড়ক ও তার পার্শ¦বর্তী অলিগলিতেও অবস্থান নেন তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় গণঅবস্থান কর্মসূচি। এরপর দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন জাসাস শিল্পীরা। 

এদিকে গণঅবস্থান ঘিরে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। 
ঢাকা ছাড়াও দেশের ৯টি বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। বিভাগীয় শহরের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। চট্টগ্রামে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রাজশাহীতে আবদুল মঈন খান, সিলেটে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরিশালে সেলিমা রহমান, ময়মনসিংহে নজরুল ইসলাম খান, রংপুরে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কুমিল্লায় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও খুলনায় শামসুজ্জামান দুদু এবং ফরিদপুরে আহমেদ আজম খান অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। তবে ময়মনসিংহ ও ফরিদপুরে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। 

ফরিদপুরে হামলা, সংঘর্ষ: ফরিদপুরে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের যৌথ হামলার অভিযোগ করেছে বিএনপি। এতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জেলা পুলিশ জানিয়েছে। 

বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র কর্মসূচির আলোকে অম্বিকা হল মাঠে গণঅবস্থান চলছিল। অবস্থান কর্মসূচির শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমদ আযম খান। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শাহ মো. আবু জাফর, নাছির হোসেন, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, খন্দকার মাসুকুর রহমান, আলী নেওয়াম খৈয়ম, কাজী হুমায়ুন কবীরসহ গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও রাজবাড়ীসহ স্থানীয় নেতাকর্মী। দেড়ঘণ্টা গণঅবস্থান চলার পর অম্বিকা হলের শহীদ মিনারের দিক থেকে যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেলযোগে এসে প্রথমে ককটেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেন। তারা সমাবেশ লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিএনপি দলীয় অর্ধশত কর্মী আহত হয়েছে বলে নেতারা দাবি করেছে। পরবর্তীতে বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ধাওয়া করে স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পর্যন্ত হটিয়ে দেন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে পুলিশ এসে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে বিএনপি কর্মীদের হটিয়ে দেয়। 

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আযম খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করছিলাম। আমাদের দাবি ছিল মানবাধিকার, ভোটারাধিকার, ফিরিয়ে দেয়াসহ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ ১০ দফা। গণঅবস্থান চলার দেড়ঘণ্টা পর  হঠাৎ করেই সরকারদলীয় লোকজন আমাদের লক্ষ্য করে হামলা করে। পুলিশও তাদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়ে। 

ফরিদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল, সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, বিএনপি ছাড়াও অন্য দলের নেতাকর্র্মীরা গণঅবস্থান কর্মসূচির স্থানে অবস্থান করছিল। তবে কারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।

এই বিভাগের আরো খবর