মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৯ ১৪৩২   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৫৯

কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আব্দুস শহীদ এমপি

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪  

মৌলভীবাজারের (শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জে) ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২৩৮ মৌলভীবাজার-৪(শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে দুই লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে টানা সপ্তমবারের মতো জয়লাভ করে পূর্ণ মন্ত্রী হলেন উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ।

শেখ হাসিনার আস্থাভাজন এই নেতা বিজয়ী হওয়ার পরই তার সমর্থকরা, কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল এলাকাবাসী ও মৌলভীবাজার জেলার সচেতন মানুষজন তাকে পূর্ণ মন্ত্রীর দাবী করে আসছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ও যোগ্যতা অনুসারে কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন আব্দুস শহীদ এমপি।

উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ১৯৯১ সালে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে তিনি এ আসন থেকে জয়লাভ করেন।

১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ, ২০০১- ২০০৬ পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং ২০০৯- ২০১৪ পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় চিফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১০ম সংসদের তিনি সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২০১৮-২০২৩ পর্যন্ত অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি সংসদ কমিটি, পিটিশন কমিটি ও কার্যপ্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলেরও তিনি সদস্য ছিলেন।

১৯৯১ সালের প্রথম নির্বাচনে উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী প্রয়াত এম, সাইফুর রহমানের সাথে মৌলভীবাজার-৪ আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। তখন এম, সাইফুর রহমানের জামানত বাজেয়াপ্ত হলে আলোচনায় সরব হয়ে উঠেন প্রবীন এ পার্লামেন্টারিয়ান। এলাকায় জনপ্রিয় এ নেতাকে সাধারণ মানুষ বারবার নির্বাচিত করেছেন। সাধারণ মানুষ অনেকদিন পর তাকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে পেয়েছেন। দীর্ঘ ৩০ বছরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে তার অবদান। 

উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এর কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা মেডিকেল কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, পর্যটন খ্যাতে উন্নয়ন সহ মৌলভীবাজার জেলাকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারী মৌলভীবাজার-৪ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই উপজেলায় ড.আব্দুস শহীদের (নৌকা) মোট প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯১। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবদুল মহিত হাসামী (মোমবাতি) প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৩৯০। ২ লক্ষ ৭ হাজার ১০১ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এই বিভাগের আরো খবর