রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৬ ১৪৩২   ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১১৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরণ অনশনে পাঁচ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৩  

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রক্টরের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছেন পাঁচ শিক্ষার্থী। রোববার (১৯ মার্চ) বিকেল থেকে অনশন শুরু হলে রাত সোয়া ১২টার দিকে অনশনরতদের দেখে যান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

এসময় তিনি বলেন, প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক অধিকার সবারই আছে। যে কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য শিক্ষকদের যেমন অধিকার আছে তেমনি শিক্ষার্থীদেরও অধিকার আছে। তাদের প্রতিবাদ জানানোর যে ভাষা সেটা আমাদের জন্য কষ্টকর। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বসবো।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার, প্রক্টরের অপসারণ, বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে এ আমরণ অনশনে বসেছেন তারা।

আরও পড়ুন: দাবি না মানায় কুবি উপাচার্যের গাড়ি আটকে দেয় ছাত্রলীগ

টানা ১০দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পর এবার আমরণে বসেছে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, একই হলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরী হৃদয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ইমতিয়াজ শাহরিয়া ও কাজল হোসাইন এবং কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান পলাশ।

অনশনরত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত ও অছাত্রদের হামলায় প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশন করবো।

এ বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। তাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। তবে তারা কেন সাড়া দেয়নি।

এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রক্টরিয়াল টিম ছাড়াও উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, ডিন ও বিভাগের শিক্ষকরা এসে কথা বলেছেন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরণ অনশনে পাঁচ শিক্ষার্থীকুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরণ অনশনে পাঁচ শিক্ষার্থী

বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সান্ত্বনা দিয়ে যান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। তবে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর না দিয়েই স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মঈন। এসময় তিনি আন্দোলন তুলে নিতে অনুরোধ করলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।

এই বিভাগের আরো খবর