ঐক্যবদ্ধ থাকার মাঝেই মুসলমানদের সফলতা
প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২১

পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, ‘এবং তোমরা সবাই আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর এবং পরস্পর বিভক্ত হও না। আর তোমাদের প্রতি আল্লাহর সেই অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমার হৃদয় প্রীতির বাঁধনে বেঁধে দিলেন এবং তোমরা তারই অপার অনুগ্রহে ভাই ভাই হয়ে গেলে। আর তোমরা এক অগ্নিকুণ্ডের কিনারায় ছিলে, তিনি তোমাদের তা থেকে রক্ষা করলেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তার আয়াতসমূহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন যেন তোমরা হিদায়াত লাভ কর’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১০৩)।
এই আয়াত অনুসারে আমরা যদি জীবন পরিচালনা করি তা হলে আমাদের মাঝে আজ যে মতভেদ, পরস্পর বিভক্তি তা দূর হবে। আমাদের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত থাকবে। জাতীয় ও ধর্মীয় ঐক্য সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে। আর এই ঐক্যই আমাদের এক উম্মতে পরিণত হওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করবে, যার ফলে আমরা এক শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হতে পারব। আর এর জন্য আমাদের আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে মহানবী (সা.)-এর পরিপূর্ণ অনুসরণ করা, তার শিক্ষানুসারে চলা।
কেননা আল্লাহতায়ালার নির্দেশ হলো— ‘তুমি বল, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাস তা হলে তোমরা আমার অনুসরণ কর। (এমনটি হলে) আল্লাহও তোমাদের ভালোবাসবেন’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত:৩১)।
এ নির্দেশ অনুসারে মহানবীর (সা.) আনুগত্য ছাড়া আল্লাহর ভালোবাসা লাভ হতে পারে না আর না-ই জাতির শৃঙ্খলা ও ঐক্য বজায় থাকতে পারে। মহানবী (সা.)-এর তিরোধানের পর খেলাফতে রাশেদাই হচ্ছে আল্লাহর সেই মজবুত রজ্জু, যার মাঝে ধর্মীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলা নিহিত।
হজরত আবু দারদ (রা.) কর্তৃক বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আমার পরে আবু বকর এবং উমরের অনুসরণ কর। কেননা তার দুজন খোদার সেই দীর্ঘ রজ্জু, যে এই দুজনকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে সে যেন এমন এক হাতল ধরেছে, যা ভাঙার নয়’ (বৈরুত থেকে প্রকাশিত তফসির দূররে মনসুর, প্রথম খণ্ড, পৃ: ৫৮৪)।
কাজেই আকাশ থেকে নেমে আসা এই আল্লাহর রজ্জু হচ্ছে, প্রথমে নবুয়ত আর পরবর্তী সময় খেলাফত, যা মানবজাতির জন্য একটি বিপ্লব সৃষ্টিকারী, অনুসরণীয় ও ঐতিহাসিক যুগের সূচনা করে।
অতএব ৬১০ সনে যখন আল্লাহতায়ালা আরবের মরুভূমি এবং অনুর্বর উপত্যকার শহর পবিত্র মক্কায় হজরত রাসুল (সা.)-এর মাধ্যমে ইসলামের বীজ বপন করেন। আরব জাতি হিংস্র জন্তুর মতো স্বভাব, নৈতিকতা বিবর্জিত এবং সর্বপ্রকার ঘৃণ্য আচার-আচরণ এবং নির্লজ্জতা নিয়ে গৌরবকারী, দাম্ভিক ও বিদ্রোহী মনোভাব সম্পন্ন জাতি ছিল, যে কারণে সে যুগের সংস্কৃতিশীল ও শক্তিশালী দুটি বড় বড় সাম্রাজ্য অর্থাৎ ইরান ও রোম তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং তাদের নিজেদের অধীনস্ত রাখাও পছন্দ করত না।
এ অসভ্য ও বর্বর জাতি যখন মহানবী (সা.)-এর মতো শ্রেষ্ঠ নবী, পবিত্রকারী ও সম্মানিত রসুলের আঁচল ধরে, তার দাসত্ব বরণ করে এবং আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে তখন তাদের জীবনাচার পাল্টে যায়। তারা অসভ্য হতে মানুষ এবং মানুষ হতে উন্নত স্বভাব চরিত্রের অধিকারী মানুষ আর উত্তম স্বভাবের মানুষ হতে খোদাপ্রেমী মানুষে পরিণত হয়।
পাঁচবেলা মদের নেশায় মাতালরা পাঁচবেলা আল্লাহর দরবারে সিজদাকারী নামাজি বনে যায়। একে অপরের রক্তপিপাসুরা পরস্পর এমন ভাই ভাই হয়ে যায়, যার সামনে রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়ও তুচ্ছ মনে হয়। এবং বিক্ষিপ্ত ও বিদ্রোহী জাতি এমনভাবে ঐক্যবদ্ধ হয় যেন শিশাগলিত প্রাচীর। তারা আল্লাহর বাণী প্রচার করাকেই নিজ জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং এ পথে নিজেদের প্রাণ ও ধনসম্পদ নির্দ্বিধায় উৎসর্গ করে।
আর এই উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে উত্তাল সমুদ্রও তাদের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারেনি এবং ভয়ানক মরুভূমিও তাদের উদ্যমে চিড় ধরাতে পারেনি। এমনকি অল্প সময়ের মধ্যেই ইসলামের দিগ্বিজয়ী, চিরস্থায়ী, শান্তি ও নিরাপত্তা এবং সত্য ও খাঁটি তৌহিদের শিক্ষা এবং জীবন প্রদায়িণী খোদাপ্রেমের বাণী দ্বারা গোটা বিশ্বজগতকে প্রদীপ্ত করার জন্য এই তারা ‘কর্মের মূর্ত প্রতীক’ হিসেবে সব সমস্যাকে পায়ে ঠেলে সম্মুখে এগিয়েছে। ফলে আল্লাহ তাদের উত্তরোত্তর সফলতাও দান করেছেন।
আমরা দেখতে পাই যখনই ঐশী খেলাফতের রজ্জু থেকে মুসলমানরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তখন থেকেই তাদের উন্নতির ধারা বন্ধ হতে থাকে এবং বিশ্বময় অমুসলিমদের দ্বারা মার খাওয়া শুরু হয়। তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে।
পরস্পর বিভক্ত না হয়ে মহানবীর (সা.) শিক্ষার ওপর আমল করে আমাদের জীবন পরিচালনা করতে হবে।
- জমি জমার বিরোধের জেরে হামলা আহত ৪
- পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে ৫তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১ আহত ১৭
- যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
- শাহবাগে আগুনে পুড়লো ফুলের ৮ দোকান দগ্ধ ৫
- বাঁচবেন না এসিপি প্রদ্যুমন মন ভাঙল দর্শকের
- ঈদের ছুটির পর সচল চারদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
- ভারতে বাস দুর্ঘটনায়, ৭০ জনের বেশি ছিলেন বাংলাদেশি পর্যটক
- ১০ শতাংশ কমছে টেলিটকের ডাটা প্যাকেজের দাম
- ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে উল্টে গেলো বালুবাহী ট্রাক ৫ কিলোমিটার যানজট
- এবার সৌদি ও বাংলাদেশে একই দিনে ঈদ
- বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাতের সময়সূচি
- চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
- যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায়
- নির্ধারিত সময়ে ছাড়ছে সব ট্রেন, আজ ঢাকা ছাড়বে ৬৯টি
- যশোরে তারেক রহমানের পক্ষে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
- ঈদে লম্বা ছুটি, সুযোগ টানা ১১ দিনের
- ধর্ম উপদেষ্টা
সংখ্যালঘু নির্যাতন যেভাবে বলছেন সেই মাত্রায় নেই - গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত বেড়ে ৩২৬
- শেখ হাসিনা ও রেহানা পরিবারের ৩৯৪ কোটি টাকা ফ্রিজ
- লাকসামে এক নেতার বাড়িতে নিয়ে তরুণী কে ধর্ষণ
- অঙ্গীকার-এর উদ্যোগে ঢাবিতে নবীনবরণ ও ইফতার মহফিল অনুষ্ঠিত
- ন্যানসি কন্যা রোদেলার কণ্ঠে আসছে ঈদের গান
- জনগণ পছন্দ করে না এমন কোন কাজ করা যাবে না
- নোয়াখালীতে কলেজছাত্রীকে হেনস্তা প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ
- লাকসামে ছাত্রদলের পদ-বঞ্চিতদের বিক্ষোভ মিছিল
- চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সভা অনুষ্ঠিত
- প্রথম একসঙ্গে ‘ইত্যাদি’র মঞ্চে হাবিব-প্রীতম
- দুই দিনের সরকারি সফরে মরিশাস পৌঁছেছেন নরেন্দ্র মোদী
- ধর্ষণ থেকে বাঁচতে নারীদের ‘কারাতে’ শেখার আহ্বান নায়ক রুবেলের
- ভারতে বাস দুর্ঘটনায়, ৭০ জনের বেশি ছিলেন বাংলাদেশি পর্যটক
- ঈদের ছুটির পর সচল চারদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
- যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
- বাঁচবেন না এসিপি প্রদ্যুমন মন ভাঙল দর্শকের
- শাহবাগে আগুনে পুড়লো ফুলের ৮ দোকান দগ্ধ ৫
- পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে ৫তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১ আহত ১৭
- জমি জমার বিরোধের জেরে হামলা আহত ৪
- ইসলামে যে ১৪ নারীর সঙ্গে বিবাহ হারাম!
- জেনে নিন কোরআনে চুমু দেয়া কি জায়েজ?
- আরবি মাসের নাম এবং তার অর্থ
- মদের বোতলে রাখা পানি পানের বিধান কী?
- মোনাজাতে কান্না করলে কি গুনাহ হবে?
- প্রাকৃতিক দুর্যোগে করণীয় আমল
- নারীর গোপন ভিডিও বা ছবি নিয়ে ইসলাম যা বলে
- তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ
- যেভাবে কবর জিয়ারত করবেন
- দ্বন্দ্বের অবসান, ফেব্রুয়ারিতে একসঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা
- ঝুলন্ত মসজিদ হবে কাবার পাশে
- মদিনা শরিফের ইমাম শায়খ আব্দুল কাদিরের ইন্তেকাল
- আজ খুলছে রাসূলুল্লাহ (সা.) রওজা মোবারক
- শরীরে ট্যাটু আঁকা হারাম
- মসজিদে নববীর আদর্শ ও আমাদের মসজিদ