সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫৪৭

ঈদে সেমাই খাওয়ার প্রচলন শুরুর অজানা তথ্য!

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০১৯  

ঈদ-উল-ফিতরের সঙ্গে সেমাইয়ের সম্পর্ক বেশ জোরালো। ঈদের সকালে সেমাই মুখে দিয়েই অনেকের উৎসবের শুভ সূচনা হয়। দুধে ভেজা সেমান, জর্দা সেমাই, ঘিয়ে ভাজা সেমাই, নবাবী সেমাই— পদে আছে ভিন্নতা, স্বাদে আছে ভিন্নতা। কেউ কেউ তো তাই এই ঈদকে সেমাই ঈদও বলে থাকে।


 
আচ্ছা কখনো কি আপনার মাথায় এমন প্রশ্ন এসেছে যে ঈদের সাথে এই সেমাইয়ের সম্পর্ক কী? এই দুইয়ের মধ্যে যোগসূত্র কোথায়? কবে থেকেই শুরু হলো ঈদের সকালে সেমাই খাওয়ার প্রচলন।

ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন জানান এ বিষয়ে বেশ কিছু দারুণ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঈদে সেমাই খাওয়ার এ প্রচলনটা খুব একটা পুরনো নয়। উনিশ শতকের দিক থেকে সেমাইকে ঈদের প্রধান মিষ্টান্ন হিসেবে খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়।

আনুমানিক ৩০-৪০ দশক থেকে উপমহাদেশে জনপ্রিয়তা পায় সেমাই। প্রথমদিকে হাতে বানানো সেমাই এর চল ছিল। হাতে তৈরি এসব সেমাই তৈরি হতো ব্যবসায়িকভাবে বিক্রির জন্য। পঞ্চাশ দশকের দিকে যে সেমাই তৈরি হয় সেটিই মূলত এখন আমরা সেমাই হিসেবে চিনি।

ইতিহাস ঘাটলে মুঘল কিংবা তার আগের ভারতীয় উপমহাদেশে সেমাইয়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। গ্রিকদের ইতিহাসে সেমাইয়ের মতো দেখতে খাবার থাকলেও তা আমাদের উপমহাদেশের সেমাইয়ের মতো নয়।

আমাদের দেশে সেমাই কেন এত জনপ্রিয়? প্রশ্নের জবাবে মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘দ্রুত তৈরি করা যাচ্ছে, দামে সস্তা। ফলে এটি অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। পোলাও, কোর্মার মতো তাই এটিও সবার কাছে জনপ্রিয়।’

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানে ঈদে সেমাই খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তবে অন্যান্য অন্যান্য মুসলিম দেশে এত আয়োজন করে সেমাই খাওয়া হয় না।

সূত্র- বিবিসি।