মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১   ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪১৬

ইহরামের কাপড় কেনা ও পরার ক্ষেত্রে যেসব মনে রাখবেন

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২৩  

হজ ও ওমরার গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম বিষয় হলো ইহরাম। নির্দিষ্ট স্থান থেকে হজ ও ওমরার নিয়তে নির্ধারিত নিয়মে ইহরাম বাঁধতে হয়। ইহরামের সুনির্ধারিত কিছু নিয়ম ও কাজ রয়েছে। যা যথাযথ আদায় করতে হয়।

হজ ও ওমরার গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম বিষয় হলো ইহরাম। নির্দিষ্ট স্থান থেকে হজ ও ওমরার নিয়তে নির্ধারিত নিয়মে ইহরাম বাঁধতে হয়। ইহরামের সুনির্ধারিত কিছু নিয়ম ও কাজ রয়েছে। যা যথাযথ আদায় করতে হয়।

আব্দুল্লাহ্‌ বিন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! মুহরিম ব্যক্তি কী ধরণের কাপড় পরিধান করবে? তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, জামা, পাগড়ি, পায়জামা, টুপি ও মোজা পরিধান করবে না। তবে কারো জুতা না থাকলে সে মোজা পরিধান করবে। কিন্তু মোজার নিম্নাংশ থেকে কেটে ফেলতে হবে। (সহিহ বুখারী, ১৫৪৩ম সহিহ মুসলিম,১১৭৭)
ইহরামের কাপড় কেনার ক্ষেত্রে ব্যক্তির শরীরের গঠন অনুযায়ী সাইজের প্রতি খেয়াাল রাখতে হবে। কারণ, ইহরামের কাপড় সবার জন্য সমান নয়। বড় ছোট মাঝারি সাইজের হয়, যদিও সাইজ লেখা থাকে না। এজন্য কাপড় কেনার আগে ভালো করে সাইজ দেখে নিতে হবে।

বড় সাইজের কাপড়ের দাম একটু বেশি। তবে দাম বেশি হলেও শরীরের গঠন অনুযায়ী বড় সাইজের কাপড় কেনা ভালো। অনেক সময় কেউ কেউ দীর্ঘদেহী হলেও ইহরামের কাপড় কেনার সময় বিষয়টি খেয়াল করে না, কম পয়সায় ইহরামের কাপড় কিনে ফেলেন, পরে সতর ঢাকতে হিমশিম খেতে হয়, আবার হজ-ওমরার মূলকার্যক্রম পালনের সময়ও সমস্যায় পড়তে হয়।

যেকোনও ধরণের ঝামেলা এড়াতে কমপক্ষে তিন সেট ইহরামের কাপড় নেওয়া ভালো।

কেউ যদি প্রথমবারের মতো হজ-ওমরা পালনকারী হয়ে থাকেন, তাহলে ইবাদত পালনের সুবিধার্থে ইহরামের কাপড় কিনে বাসায় তা পরিধান করে দেখে নিতে পারেন। কয়েকবার পরিধান করে ট্রায়াল দেওয়া ভালো। অনেককেই দেখা যায়, ইহরামের নিচের অংশ ভালোভাবে পরতে পারছেন না। তাই আগে ট্রায়াল দিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন জরুরি। ইহরামের কাপড় পরিধান করে অবশ্যই বেল্ট পরবেন, নাহলে তাওয়াফে ধাক্কা-ধাক্কিতে খুলে যেতে পারে।

ইহরামের কাপড় পড়া কিংবা নিয়ত করার পর সবসময় সাবধান থাকতে হবে। এসময় অশ্লীল-অসাড় আলাপ-আলোচনা থেকে বিরত থাকতে হবে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নিজেকে দয়াময় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে শপে দিতে হবে। জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, মুখস্ত দোয়ায় মনোযোগী হওয়ার জরুরি।

বিমানে ওঠার পর জরুরি বিষয় হলো- এয়ার হোস্টেসদের সঙ্গে বিনাপ্রয়োজনে কথা না বলা, না তাকানো। বাথরুম ব্যবহারে সতর্ক থাকা। কমোডে বসার আগে টিস্যু দিয়ে প্যানের ওপরের অংশ মুছে পবিত্রতা নিশ্চিত করা। অনাবশ্যক চা-কফি অথবা কোমল পানীয় পান না করাই ভালো।

উড়োজাহাজের বাথরুমে ইহরাম অবস্থায় কোনো সুগন্ধিযুক্ত হ্যান্ডওয়াশ লিকুইড বা সাবান অথবা সুগন্ধিযুক্ত টিস্যু ব্যবহার না করা।