শুক্রবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৫ ১৪৩২   ১৯ শাওয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩২৯

আমি বুড়িগঙ্গা, আমাকে বাচাঁও

ফয়সাল আহমেদ,  জবি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৩  

নদী মাতা বুড়িগঙ্গার দুইপাশেই বিকশিত হয়েছে আজকের এই ঢাকার চাকচিক্য।  কিন্তু আধুনিক ঢাকা বুড়িগঙ্গার এই প্রতিদান ফিরিয়েছে পানি দুষন আর ভুমি দখলেন মাধ্যমে।

প্রাচীন কালে বুড়িগঙ্গার যৌবনের কথা শোনা গেলেও বর্তমানে বুড়িগঙ্গা একটি মৃতপ্রায় নদী। ময়লা আর দুর্গন্ধে সেখানে দুদন্ড দাঁড়ানো মুশকিল

দখলদারদের দৌরাত্ম আর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে এই অনেক সাফল্য-ব্যর্থতার সাক্ষী বুড়িগঙ্গার আয়তন ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে

সদরঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বুড়িগঙ্গার দুই পাড়ের এলাকাগুলো দখলে নিয়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি তৈরি করেছে ভূমিদস্যুরা। পাড় দখলেই শেষ নয় বরং  পুরো বুড়িগঙ্গা দখলের প্রতিযোগিতায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে সেই ভূমিদস্যুরা।

কয়েকবার মোবাইল কোর্ট ও বিআইডব্লিউটিএ’র অভিযানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের নজরদারি না থাকায় পুনরায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে।  

স্থানীয় অনেক  প্রবীণ লোকের   অভিযোগ , আমরা যে বুড়িগঙ্গা দেখেছি, এখন আর সেই বুড়িগঙ্গা নেই। এক সময় আমরা প্রাণখুলে বুড়িগঙ্গায় গোসল করতাম, সাঁতার কাটতাম, মাছ ধরতাম। কিন্তু এখন দুর্গন্ধে বুড়িগঙ্গায় যাওয়া যায় না, গোসল করাতো দূরের কথা।

 

বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য শহরগুলোর অন্যতম শহর হলো ঢাকা।  ঢাকাকে বসবাসের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হলে ঢাকাসহ বুড়িগঙ্গার দুই তীরবর্তী মানুষের নিজেদের স্বার্থেই বুড়িগঙ্গাকে দুষনমুক্ত করা, এর নাব্যতা বৃদ্ধি, এর বুকে নৌযান চলাচল সীমিতকরণ, এবং এর সৌন্দর্যবর্ধণ আবশ্যক।

অবৈধ ড্রেজিং বন্ধ করা, শিল্পকারখানাগুলোকে দূরবর্তী কোথাও স্থানান্তর, প্রাত্যহিক ও পয়ঃবর্জ্য নিক্ষেপ বন্ধ করা, নদীর দুই তীর বাঁধিয়ে তাতে বৃক্ষরোপন কর। এছাড়া বুড়িগঙ্গার বক্ষ থেকে পলিথিনসহ অন্যান্য কঠিন বর্জ্য উত্তোলন এবং পানির গুণগত মানোন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাগ্রহন প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকে।

ঢাকাকে বিশ্বমানের মহানগরে পরিণত করতে বুড়িগঙ্গাকে দুষনমুক্তকরণ ও এর সৌন্দর্যবর্ধণের বিকল্প নেই। এর জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ আবশ্যিক বটে, তবে তার সাথে প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতার।

এই বিভাগের আরো খবর