শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১   ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৯২

আজীবন থাকতে পারে করোনাভাইরাস, বলছেন বিজ্ঞানী

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২০  

 

করোনাভাইরাস কোন না কোন আদলে আজীবন থাকতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের জরুরি পরিস্থিতিতে বৈজ্ঞানিক পরামর্শ কমিটির একজন সদস্য। স্যার মার্ক ওয়ালপোর্ট বলেছেন, এমন ক্ষেত্রে নিয়মিত বিরতিতে মানুষজনের টিকা নেয়ার দরকার হতে পারে।

তার এই মন্তব্যের একদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান মন্তব্য করেছিলেন, করোনাভাইরাস দুই বছরের মধ্যে বিদায় নেবে বলে তিনি আশা করছেন। কারণ স্প্যানিশ ফ্লুর বিদায় হতে দুই বছর লেগেছিল।

স্যার মার্ক বলেছেন, ঘন জনবসতি আর ভ্রমণের কারণে ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ১৯১৮ সালে যতো জনসংখ্যা ছিল, এখন বিশ্বের জনসংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সারা বিশ্বের মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু করোনাভাইরাস স্মল পক্সের মতো কোন রোগ নয় যে, টিকা দিলেই সেটা চলে যাবে।

তিনি বলেন, এটা এমন একটা ভাইরাস যা কোন না কোন আদলে আজীবন আমাদের সঙ্গে থেকে যাবে। আর অনেকটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, মানুষজনকে বার বার টিকা নিতে হবে। সুতরাং ফ্লুর মতো মানুষজনকে নিয়মিত বিরতিতে টিকা নিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম গেব্রেইয়েসাস এর আগে বলেছিলেন, ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু দুই বছরের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের উন্নত প্রযুক্তি এই ভাইরাসটিকে তার চেয়েও কম সময়ে আটকে দিতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন।

১৯১৮ সালের ভয়াবহ ফ্লুতে বিশ্বে অন্তত পাঁচ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। করোনাভাইরাসের কারণে এ পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় আট লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। তবে ধারণা করা হয়, পরীক্ষা করা হয়নি বা লক্ষণ দেখা যায়নি, এমন আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

স্যার মার্ক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাস আবারো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া সম্ভব। সেটা ঠেকাতে শুধুমাত্র লকডাউনের পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে এগোতে হবে। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান দেশগুলোয় আবারো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। যেমন দেশ করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সফল বলে মনে করা হয়েছিল, সেসব দেশেও নতুন করে রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

স্যার মার্ক বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলোয় এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেভাবে নতুন রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে তিনি উদ্বিগ্ন।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন মোট দুই লাখ ৯২ হাজার ৬২৫ জন। আর এ সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিন হাজার ৯০৭ জন।

এই বিভাগের আরো খবর