বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩১৯

অবসর ভেঙে টেস্টে ফিরেও বাংলাদেশের বিপক্ষে নিষিদ্ধ হাসারাঙ্গা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৪  

আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা যেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। যে কারণে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। যার ফলে অবসর ভেঙে টেস্টে ফিরলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলা হচ্ছে না এই লঙ্কান লেগ স্পিন অলরাউন্ডারের।

বাংলাদেশ সফরের ঠিক আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আম্পায়ারিং নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন তিনি। আম্পায়ারদের অন্য চাকরি খোঁজার পরামর্শ দিয়ে হন সমালোচিত। আইসিসি তাকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে। যে কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পারেননি হাসারাঙ্গা।


খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে আবারও আম্পায়ারিং নিয়ে কটাক্ষ করলেন তিনি এবং এ অপরাধে শাস্তিও পেলেন। শুধু হাসারাঙ্গা নয়, আম্পায়ারদের অবমাননা করে শাস্তি পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসও।

২০২৩ সালে টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে যে টেস্ট দল ঘোষণা করা হয়, তাকে দেখা যাচ্ছিলো, অবসর ভেঙে তিনি আবার ফিরেছেন। ফলে আইপিএলের শুরুতে খেলতে না পারার কথাও শোনা গিয়েছিলো তার। কিন্তু আচরণবিধি লঙ্ঘণের দায়ে শাস্তি পেতে হলো তাকে।


আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.৮ নম্বর ধারা ভেঙেছেন হাসারাঙ্গা- বলে জানিয়েছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। যেটি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানানোর সঙ্গে জড়িত।

ঘটনাটা ঘটেছিলো বাংলাদেশের ইনিংসের ৩৭তম ওভারে। তখন বাংলাদেশের ব্যাটার রিশাদ হোসেনের বিপক্ষে এলবির আবেদন করে শ্রীলঙ্কা। বল ট্র্যাকিং দেখায় আম্পায়ার্স কল, ফলে বেঁচে যান রিশাদ। ওই ওভারের পর আম্পায়ারের হাত থেকে নিজের ক্যাপ ছিনিয়ে নেন হাসারাঙ্গা।

এমনকি ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে কটাক্ষও করেন। শেষে ১৮ বলে ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন রিশাদ। ঝড়টা সবচেয়ে বেশি যায় হাসারাঙ্গার ওপরই, তার ১১ বলে রিশাদ তোলেন ৪০ রান। এক ওভারেই তোলেন ২৪ রান। ৪ উইকেটে জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।


আম্পায়ারকে কটাক্ষ করার ঘটনায় হাসারাঙ্গার ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি ডিমেরিট পয়েন্টও যুক্ত করা হয় তার ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে। এ নিয়ে ২৪ মাসের মধ্যে আটটি ডিমেরিট পয়েন্ট হলো তার।

নিয়ম অনুযায়ী, আট ডিমেরিট পয়েন্ট চারটি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্টে রূপ নেবে। ফলে তিনি দুই টেস্ট বা চার ওয়ানডে কিংবা চারটি টি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ হবেন (যে সংস্করণের খেলা আগে)। হাসারাঙ্গাকে টেস্ট দলে রাখার কারণে এখন তার এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজেই।

এই বিভাগের আরো খবর