মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৯ ১৪৩২   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

বিয়ের নিমন্ত্রণের সাজ-গহনা

নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজার সৈকত

প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার

শীতকাল শুরু হওয়া মানেই চারদিকে বিয়ের ধুম পড়ে যাওয়া। আজ কলিগের বিয়ে, কাল বন্ধুর বিয়ে তো পরশু আত্মীয়ের বিয়ে। বিয়ের দাওয়াতে যাবেন, কেমন করে সাজবেন, রাতের সাজ হলে সেটা কেমন হবে, দিনের সাজ হলে সেটা কেমন হবে সেটা নিয়েও ভাবনা কম থাকে না। এই সাজে নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে চায় সবাই। কেমন হবে পোশাক কিংবা জুয়েলারি তা নিয়েই যত চিন্তা। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কেমন পোশাক পরবেন, তা নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা।

প্রথমে ভেবে নিন

সংক্ষিপ্ত করে সাজুন। একটি বড় সাইজের লকেটের সঙ্গে কয়েক স্তর বিশিষ্ট নেকলেস কিংবা একসঙ্গে হাতে অনেকগুলো ব্রেসলেট দেখতে যেমন ভালো লাগবে না তেমনি বহন করাও কষ্টকর হবে। তার চেয়ে নিজেকে পরিপাটি রাখতে ও আকর্ষণীয় করে তুলতে একটি দেশীয় ক্লাসি নেকলেস বেছে নিন।

চলতি ফ্যাশনের দিকে নজর রাখুন

সাজার সময় সবসময় চলতি ফ্যাশনের দিকে খেয়াল রাখুন। জুয়েলারি বা গয়নায় সবসময়ই আধুনিক ডিজাইন করা হয় অলংকারগুলো মাথায় রাখুন। বিয়ের উৎসবে বাঙালি ঘরানার অলংকার পরাই ভালো। এখন অলংকারের নকশায় কিছুটা পরিবর্তন তো আসছেই। বিশেষ করে ঝুমকা ও চুড়িতে। এগুলো ক্যাজুয়াল কিংবা ট্রাডিশনাল সব জায়গাতেই বেশ ভালোভাবে মানিয়ে যায়।

ঝুমকা

সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি সবার কাছেই এখন বিভিন্ন আকৃতির ঝুমকাগুলো অনেক পছন্দের। এগুলো যেমন ওয়েস্টার্ন লুকের সঙ্গে মানিয়ে যায় তেমনি দেশি পোশাকের সঙ্গেও সহজেই পরা যায়। এই বিয়ের মৌসুমে সাজগোজে ঝুমকা পরা তাই আবশ্যকীয় বলা যায়। আপনার মুখমণ্ডল, সাজ আর পোশাকের উপর নির্ভর করে ঝুমকাটি ছোট না বড় হবে। মুখ ছোট হলে, সাজ হালকা হলে মাঝারি ঝুমকাই ভালো। আবার বড় ঝুমকা পরলে গলায় কিছু না পরলেও চলে।

নাকে রিং

আপনি হয়তো সবসময় ব্যবহারের জন্য ছোট নাকফুল বা রিং পরেন। কিন্তু বিয়ের সাজে একটু বড় পাথরের নাকফুল পরে নিন। নাকফুলের রং বেছে নিন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে। আর ভালো হয় বড় রিং বা নোলক পরলে। বিয়েবাড়ির সাজে নোলক বেশ মানানসই।

চুড়ি

জমকালো শাড়ি বা পোশাকে সাজবেন কিন্তু হাত ভরে চুড়ি পরবেন না, তা তো হয়না। যদি শাড়ি পরেন, তার সঙ্গে মিলিয়ে দুই হাতেই পছন্দের চুড়ি পরুন। চাইলে একহাতে চুড়ি, অন্যহাতে একটু কারুকার্য করা ঘড়ি বা ব্রেসলেট পরুন। বিয়ের দাওয়াতের জন্য ঝুমকা ‍চুড়ি, বালা বেশি ভালো দেখায়। আর ছোট হাতা বা স্লিভলেস কিছু পরলে একটি বা দুই বাহুতেই বাজু পরতে পারেন।

ফুলের সাজ

বিয়ের সাজে ফুলের ব্যবহার চির প্রাচীনকালের। বিশেষ করে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান তো ফুল ছাড়া সম্ভবই না। কিন্তু বিয়ের যাবতীয় অনুষ্ঠানেই ফুল দিয়ে সাজা যায়। বিয়ের দিনে যতো গয়না দিয়েই সাজুন না কেন, সঙ্গে লাল টুকটুকে কোনো ফুল দিয়ে সাজলে আপনাকে সেখানে সবার থেকে আলাদা দেখাবে।