ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে কাজ করছে আওয়ামী লীগ : শেখ হাসিনা
প্রকাশিত : ১২:৩৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ শনিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার জন্য কাজ করছে আওয়ামী লীগ। আদর্শ মেনে সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে, বাঙালি জাতির মর্যাদা উন্নয়ন করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য।
আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দিনের কাউন্সিল অধিবেশনে এ কথা বলেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ দেশে ঋণখেলাপি সংস্কৃতি, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবীদের হাতে মাদক ও অস্ত্র তুলে দিয়ে পুরো সমাজটাকে তারা ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল।’
আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই একমাত্র লক্ষ্য আমাদের।’
শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দেশে শুরু হয়েছিল, যেখানে কারফিউ ছিল, স্বৈরতন্ত্র ছিল দীর্ঘ ২১ বছর। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চলে। এই ২৯টা বছর এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলেছে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে আন্দোলন সবগুলোতে আওয়ামী লীগই নেতৃত্ব দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর উড়ে এসে যারা জুড়ে বসেছে, তারা জনগণের ভাগ্য নিয়ে ভাবেনি। নিজেদের ভাগ্য গড়তেই ব্যস্ত ছিল তারা। সরকার যে জনগণের সেবা করতে পারে, জনগণ যে সরকারের কাছ থেকে সেবা পেতে পারে তা তারা উপলব্ধি করতে পারে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে।’
প্রচণ্ড শীতের কথা বলে শেখ হাসিনা দ্বিতীয় দিনের কাউন্সিল অধিবেশনের কর্মসূচি কিছুটা সংক্ষিপ্ত করার কথা জানান। সন্ধ্যার আগেই যাতে শেষ হয় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্র জানায়, সারা দেশ থেকে আসা দলের সাত হাজার ৭৩৭ কাউন্সিলর এ অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন, যেখানে বাছাই করা কাউন্সিলররা নতুন নেতৃত্ব নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবেন।
আজকের কাউন্সিল অধিবেশনে নির্বাচন পরিচালনার জন্য এরই মধ্যে তিন সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন দলের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। অপর দুই সদস্য হলেন উপদেষ্টা ড. সাইদুর রহমান ও ড. মসিউর রহমান।
অধিবেশনে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করবেন। এরপর দলের সংশোধিত ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হবে।
এসব কার্যক্রম শেষে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে দেওয়া হবে। এরপর শুরু হবে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া।
দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব ও সমর্থন করবেন। পরে কাউন্সিলরদের কণ্ঠভোটে তা পাস হলে আগামী তিন বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব পাবে আওয়ামী লীগ।
এরপর রীতি অনুযায়ী কাউন্সিল অধিবেশনেই প্রেসিডিয়াম সদস্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পদে নির্বাচিত নেতাদের নাম ঘোষণা করবেন নবনির্বাচিত সভাপতি।
পরবর্তী সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজই কেন্দ্রীয় কমিটির বেশির ভাগ পদে নির্বাচিত নেতাদের নাম ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে।