প্রেমিকার সাথে কথা বলতেই টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন গ্রাহামবেল
রুহুল আমিন,
প্রকাশিত : ১০:০২ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

প্রয়োজনের তাগিদেই আবিষ্কৃত হয়েছে পৃথিবীর সব বড় বড় আবিষ্কার। এজন্য বলা হয়, প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জন্য। আধুনিক পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হলো টেলিফোন। অনেকেই হয় তো জানেন না আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল কেন টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি প্রেমিকার সাথে কথা বলতেই উদ্ভাবন করেছিলেন এ আশ্চর্য প্রযুক্তিটি। আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল এক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন। ঐ তরুণীর বাসা বিজ্ঞানী গ্রাহামবেলের বাসা থেকে অনেক দূরে হওয়ায় কথা বলা কঠিন হয়ে পড়তো। এজন্য প্রায়ই কেঁদে উঠতো তার মন।
তিনি একসময় চিন্তা করলেন,কীভাবে তার প্রেমিকার সাথে মন চাইলেই কথা বলা যায়। সে চিন্তা থেকেই তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন টেলিফোন।
আমরা কাউকে ফোন করলেই প্রথমেই বলি হালো।
“হ্যালো” বলে যে শব্দটি উচ্চারন করি সেটা
একটি মেয়ের নাম। তার পুরো নাম “মার্গারেট
হ্যালো” (Margaret Hello). তিনি ছিলেন
টেলিফোন আবিষ্কারক অ্যালেক্সান্ডার
গ্রাহামবেলের প্রেমিকা। অ্যালেক্সান্ডার
গ্রাহামবেল মার্গারেট হ্যালোকে
খুব ভালোবাসতেন । তিনি যখন টেলিফোন
আবিষ্কার করলেন তিনি ভাবলেন টেলিফোনে
কথা বলা প্রথম শব্দটি হবে তার প্রেমিকার নাম। তাই
তিনি টেলিফোনে যখন প্রথম কথা বলেন তখন
উচ্চারণ করেছিলেন “হ্যালো”।
সেই থেকে হ্যালো শব্দটির প্রচলন হয়ে
আসছে বিশ্বজুড়ে। আদতে “HELLO” একটি
ইংরেজি শব্দ। এর কোন অর্থ নেই, এই শব্দটি
ইংরেজি ডিকশনারির অন্তরভুক্ত ছিল না, ১৮৮৩
সালে শব্দটি ইংরেজি ডিকশনারিতে অন্তরভুক্ত
করা হয় যার বাংলা করলে দাড়ায় “ওহে”।
আমরা আজ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, মা-বাবা, ভাই-বোন, প্রেমিক প্রেমিকা যার সাথেই কথা বলি না কেন হ্যালো শব্দটি ব্যাবহার করে থাকি।