বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবসম্মত হওয়া প্রয়োজন: ফখরুল

প্রকাশিত : ০৩:০৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার

 

কার্যকর হওয়া নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবসম্মত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

এ সময় ফখরুল বলেন, সড়ক আইন হওয়া দরকার এবং তা বাস্তবায়নও প্রয়োজন। কিন্তু স্টেকহোল্ডারদের (আইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট) সঙ্গে আলাপ করে আইন বাস্তবসম্মত হওয়া দরকার।

সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ করে ধর্মঘটের ফলে একদিকে গন্তব্যে ছুটে চলা মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

এ সময় সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, একটা সরকার যখন জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া নির্বাচিত হয়, তখন সবক্ষেত্রেই তার ব্যর্থতাগুলো সামনে আসতে থাকে। তারা রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, কিন্তু ধীরে ধীরে সে নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতের বাইরে চলে যায়।

জনগণ আগে ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হয়, যে দলটি অতীতে গণতন্ত্রের কথা বলেছে, সেই দলটি ১৯৭৫ সালে ও এখন গণতন্ত্রের ধারাগুলো ভেঙে দিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে ছদ্মবেশে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় নিয়ে চলে এসেছে। এ জন্য তারা সংবিধান পরিবর্তন করেছে এবং রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে, বিশেষ করে বিচার বিভাগ ও মুক্ত গণমাধ্যমকে নষ্ট করে ফেলেছে,’ যোগ করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, পার্লামেন্ট বলতে এখানে কিছু নেই। কারণ, এ পার্লামেন্ট নির্বাচিত নয়। তাই এ ধরনের একটা দলের পক্ষে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি, চুরি-ডাকাতি ও ধর্ষণ অতিমাত্রায় বেড়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আজ প্রশাসন ও পুলিশের ওপরও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাম্প্রতিক ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আস্তে আস্তে প্রতিরোধ গড়ে উঠছে। সবচেয়ে অযোগ্য ও নিকৃষ্টদের আজ ভিসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ প্রমাণিত, সে অভিযোগের কারণে ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদককে অপসারণ করা হলো। অথচ ভিসি বহাল তবিয়তে থাকল। এটা হলে গণতন্ত্র কোথায় কাজ করবে?

বিএনপির এই নেতা বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় লড়াই করা একটু কঠিন। তবে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। আমার বিশ্বাস, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।