শিগগিরই পেঁয়াজের মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে: শিল্পমন্ত্রী
তরুণ কণ্ঠ ডেস্কঃ
প্রকাশিত : ০৭:৪৯ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন বলেছে, শিগগিরই পেঁয়াজের মূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে। সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আজ (১২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে বিএনপির জাহিদুর রহমানের করা প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশির পক্ষে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেয়ায় গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তবে তুরস্কসহ প্রতিবেশি অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়া জেলা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ফলে আশা করা যায় শিগগিরই পেঁয়াজের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে।’
তরিকত ফেডারেশনের সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক লিখিত পশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। গত বছর পেঁয়াজের উৎপাদনের পরিমান ছিল ২৩.৩০ লাখ মিট্রিক টন। তবে এরমধ্যে ৩০ শতাংশ সংগ্রহকালীন এবং ও সংরক্ষণকালীন ক্ষতি বাদ দিয়ে এর পরিমান দাঁড়ায় ১৬.৩১ মেট্রিক টন।
উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মিটানোর পক্ষে যথেষ্ট না হওয়ায় বিদেশ থেকে বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে নির্দিষ্ট পরিমান পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।
বগুড়া-৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সার্কভুক্ত ৭টি দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশগুলোতে রফতানি হয় এক হাজার ৪০৮ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সময় আমদানি হয় আট হাজার ৩৯৬ দশমিক ৭২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ঘাটতি ছয় হাজার ৯৮৮ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মন্ত্রী বলেন, সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি সাত হাজার ৭৪৮ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাকিস্তানের সাথে ৪৭১ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভুটানের সাথে ২৭ দশমিক ৯০ মার্কিন ডলার, শ্রীলঙ্কার সাথে ১৬ দশমিক ২০ মার্কিন ডলার, মালদ্বীপের সাথে ১২ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আফগানিস্তানের সাথে দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার।