ফার্মেসীতে বিক্রি হওয়া কিছু ওষুধে মিলছে ইয়াবার উপদান
নুরুল আফছারঃ
প্রকাশিত : ১২:৫৯ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার
বাংলাদেশে যেকোনো ফরম্যাটে ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবার উপাদান অ্যামফিটামিন নিষিদ্ধ। অথচ একাধিক নামিদামি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের তৈরি বেশ কিছু ওষুধে অ্যামফিটামিন রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো কোনো ওষুধ কোম্পানির নির্দিষ্ট এক বা একাধিক ওষুধে ইয়াবার উপাদান থাকার প্রমাণ পেয়েছে ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়েই এসব ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। অপসোনিন ফার্মাসিউটিক্যালস্, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস্, এস্কাইফ ফার্মাসিউটিক্যালস্, এসিআই, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালসস ও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি ব্যথানাশক ওষুধ ‘টাপেন্টাডল হাইড্রোক্লোরাইড’ জেনেরিকের টাপেন্টা, লোপেন্টা, পেন্টাডল, সিনটা প্রভৃতি ওষুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর অ্যামফিটামিন রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও বাজারে ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির ‘মেথাইফেনিডেট হাইড্রোক্লোরাইড’ জেনেরিকের রিটালিন, কজনিয়াম, মেথিপিন ইত্যাদি নামে বিক্রি হওয়া ওষুধেও রয়েছে ইয়াবার উপাদান অ্যামফিটামিন। এক শ্রেণির চিকিৎসক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার টনিক হিসেবে অ্যামফিটামিনযুক্ত কিছু ওষুধ ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এরই মধ্যে মাদকসেবীরা ইয়াবার বিকল্প হিসেবে এসব ওষুধ ব্যবহার শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। বিশ্বের কিছু দেশে একসময় এসব ওষুধ ব্যবহার করা হলেও এগুলোর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব দেখে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। বাংলাদেশে যেকোনো ফরম্যাটের অ্যামফিটামিন নিষিদ্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও কৌশলে এসব ওষুধ কম্পানি এগুলো তৈরি ও বাজারজাত করছে।
সরকারের ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির একাধিক বৈঠকেও অ্যামফিটামিনের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে এসব ওষুধ প্রস্তুত ও বাজারজাত না করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব ওষুধ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করা কিংবা ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে না।ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তালিকায়ও এসব ক্ষতিকর ওষুধের নাম রয়েছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওষুধ বিশেষজ্ঞরা।