শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মসজিদ নাকি মন্দির! মামলার রায় আজ

তরুণ কণ্ঠ ডেস্কঃ

প্রকাশিত : ১১:১৮ এএম, ৯ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার

ভারতে বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যার মসজিদ-মন্দির মামলার রায় আজ শনিবার ঘোষণা করতে যাচ্ছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় এই মামলায় রায় ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য উত্তরপ্রদেশসহ ভারতজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

গত ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে অযোধ্যা জমি বিতর্কের শুনানি শেষ হয়।

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে অযোধ্যার আশপাশের অনেক গ্রামেই উড়ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ ড্রোন। ৩০টি বোম্ব স্কোয়াড গেছে বৃহস্পতিবার রাতেই। অযোধ্যার অধিকাংশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যা চলবে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেখানে ৪ হাজার আধা-সামরিক বাহিনীর জওয়ান পাঠিয়েছে। সেইসঙ্গে ১৬ হাজার পুলিশকর্মী। থমথমে শহরের অনেকে অশান্তির ভয়ে আগে থেকেই বাড়ির শিশু ও মহিলাদের সরিয়ে দিয়েছেন অন্যত্র। সোশ্যাল মিডিয়া এ নিয়ে কোনো পোস্ট দেওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন অযোধ্যার প্রশাসন। আশপাশের প্রতিটি গ্রামে ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। কোনো রকম উত্তেজক অবস্থা হলে তারা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাবে।

সাম্প্রদায়িক দিক থেকে স্পর্শকাতর এলাকায় অনেক বেশি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতীয় রেল তাদের কর্মীদের জন্য সাত পাতার নির্দেশিকা জারি করেছে। সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর মধ্যেই তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের জানিয়ে দিয়েছেন, তারা যেন প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে অত্যন্ত সংযত থাকেন।

উল্লেখ্য, অযোধ্যায় ২ দশমিক ৭৭ একর জমির দাবি জানিয়েছে হিন্দু এবং মুসলিম উভয়পক্ষই। ১৯৮০ সাল থেকেই এই ইস্যুটি রাজনৈতিক বিষয় হয়ে উঠেছে। ১৯৯২ সালের ১৬ শতকের বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় দক্ষিণপন্থি সংগঠন। তাদের বিশ্বাস, ভগবান রামচন্দ্রের জন্মভূমির ওপর তৈরি পুরোনো মন্দিরের ভগ্নাবশেষের ওপর করা হয়েছে সেটি।

সেই সময়ে হিংসার ঘটনায় সারা দেশের ৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সেই জায়গায় মন্দির তৈরি করতে চায় হিন্দুরা। অপরদিকে, মুসলিম সংগঠনের পক্ষে দাবি করা হয়, মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর মসজিদ তৈরির কোনো প্রমাণ নেই।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ নভেম্বর অবসর গ্রহণ করবেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তার আগেই এই রায় দেওয়া হচ্ছে।