সামাজিক ব্যক্তিত্বে এগিয়ে আমেরিকা প্রবাসি আলহাজ্ব মনির আহমেদ
মনোরঞ্জন তালুকদার, সিলেট থেকে
প্রকাশিত : ০৫:৫৯ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রোববার
ধর্মদা সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবনে শুরু, বিশ্বনাথ রামসুন্দর সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি স্কুল জীবনে শ্রেণী প্রতিনিধি ক্লাস ক্যাপ্টেন ও নবম শ্রেণীতে স্কুল ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হন বাংলাদেশ স্কাউটের একজন চৌকুশ ক্যাডেট হিসাবে জাতীয় স্কাউট জাম্বুরীতে অংশগ্রহণ করেন। রাম সুন্দর পাইলট স্কুলে অধ্যায়ন অবস্থায় পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায় বিশেষ মনোযোগি ছিলেন, স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সব সময় ১ম স্থান অধিকারী ছিলেন, আপ্তস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে ১ম স্থান অধিকার করে চ্যাম্পিয়ান শীপ এর গৌরভ অর্জন করেন। এছাড়া আঞ্চুলিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তিনি সরব ছিলেন। স্কুল অধ্যয় কালে একটু একটু ছাত্র-রাজনীতি করেন। ১৯৭৯ সালে বিশ্বনাথ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮০ সালে সিলেট সরকারী মুরারী চাদ (এম.সি কলেজে) অধ্যয়ন কালে তিনি ছাত্র রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত হন এ সময় তিনি জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জাসদ ছাত্রলীগ এর হোস্টেল শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন মনির আহমেদ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর এর একজন নির্বিক সৈনিক ছিলেন। এ সময় বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর ২নং ময়নামতি ক্যান্টলমেন্ট কুমিল্লা এর অধিনে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। কলেজে অধ্যায়ন কালীন সময় তিনি খেলা-ধুলায় ছিলেন খুব মনোযোগী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। মনির আহমেদ নিজ এলাকায় স্থানীয় যুব সমাজকে এলায় উন্নয়ন ও শিক্ষার হার বৃদ্ধি করনে নিরক্ষতা দূরীকরা বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান খেলাধুলায় অনুপ্রানিত করেন। বিশ্বনাথ উপজেলা থেকে সর্ব প্রথম সামাজিক সাংস্কৃতিক সমাজ কল্যাণ মূলক অরাজনৈতিক সংঘটন নাজির বাজার অগ্রগামী সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ দপ্তর কতৃক সরকারী অনুমোদন করেন/স্থানীয় ভাবে এলাকার শিক্ষিত স্কুল কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে একযোগে সামাজিক কর্ম কান্ডে নিয়োজিত হন অগ্রগামী সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ এর মাধ্যমে গণশিক্ষার উন্নয়নে বয়স্কদের অক্ষরজ্ঞান শিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে বহু বয়স্ক লোকদের স্বাক্ষর জ্ঞান অর্জনে সক্ষম হয়। মনির আহমেদ অগ্রগামী সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ নাজির বাজার একাদিক বার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সম্পাদক থাকালীন সময় এলাকার রাস্তাঘাট স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ব্রিজ কালভাট নির্মাণে এলাকার সর্বস্থরের মানুষ এবং অগ্রগামী সমাজ কল্যাণ যুব সংঘের সদস্যদের সক্রিয় প্রচেষ্টায় এলাকার উন্নয়নের অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। যার ফলস্তুতি অগ্রগামী সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ এর সক্রিয় প্রচেষ্টায় অবহেলিত জনপদ নাজির বাজার আমিরদীর নদীর উপর সর্ব প্রথম অগ্রগামী সমাজ কল্যানণ যুব সংঘের সকল সদস্যদের শ্রমে ঘামে ও অর্থব্যয়ে আমিদীং নদীর উপরে বাসের সেতু নির্মাণ করা হয়। বাসের নির্মানে এলাকার অবহেলিত জন পদ এর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘঠে যেখানে প্রতিদিন বাইসাইকেল, রিক্সা ও অটো রিক্সায় পারাপার হয়ে ২/৩ হাজার লোক যাতায়াত করে পরবর্তী সময়ে আবারো অগ্রগামী সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ সক্রিয় হয়ে আমিদীং নদীর উপর বিশাল আকারে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ কর্তৃক পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়। যার মাধ্যমে বিশ্বনাথ উপজেলা সিলেট কতোয়ালি থানা বর্তমান দক্ষিণ সুরমা ও বালাগঞ্জ বর্তমান ওসমানী নগর সরাসরি যোগাযোগ ব্যাবস্থা উন্নতি ঘটে। সামাজিক কর্ম কান্ডের সাথে সংঘতি রেখে অগ্রগামী সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ শরীর চর্যা শারিরীক উন্নতি চিত্বাবিনোদনের জন্য বিভিন্ন খেলাধূলার আয়োজন সাংস্কুতিক অনুষ্ঠান নাটক ইত্যাদির আয়োজন ছিল নিয়মিত। বিকাল বেলায় বিনোদন নিয়মিত আয়োজন ছিল ফুটবল প্রতিযোগিতা ও বলিবল রাতে বৈদ্যুতিক বাতির সাহায্যে ব্যাডবিন্টন প্রতিযোগিতা ছিল এক বিশাল আকর্ষণ। যা দেখার মত ও দর্শক নন্দিত। নাজির বাজার এর পশ্চিমের মাঠে প্রতিদিন বিকেলে দর্শক বিনোদন এর লক্ষে ফ্রেন্ডলি ম্যাচের আয়োজন ছিল নিয়মিত বিনদনের উৎষ । ১৯৮৩ সালে মনির আহমেদ নিজ উদ্যেগে এ্যামেচার অগ্রগামী নামে টিম গটন করেন। এ্যামেচার তখনকার সময় বিশ্বনাথ দক্ষিণ সুরমা ও ওসমানীনগরে খুব জনপ্রিয় দল ছিল। এ্যামেচার ফুলবল ব্যাডমিন্টন কাবাডি ও বলিবল এ অত্র এলাকায় অতি সামার্দ্রিত ও জনপ্রিয় দল ছিল। এ্যমেচার এর প্রতিদন্দি রং-ধনু সংঘ, বিশেষ ভাবে বলা বাহুল্য এ্যামেচার এবং রংধনু ও দুয়ের মধ্যে একটা হাড্ডা হাড্ডি প্রতিদন্দিতা লেগেই থাকতো থা দেখে দর্শক-রা সর্বদাই অনন্দ উপভোগ করতো। তিনি আলহাজ্ব মনির আহমেদ, জন্ম ৩১শে ডিসেম্বর ১৯৬৩ইং, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন, ইসলামপুর (তাতিকোনা), ফকির পাড়া গ্রামে, পিতা: মরহুম হাজী আবুল হাসেম ময়না মিয়া, মাতা: মোসাম্মত খাদিজা বেগম।
১৯৮৮ সালে মনির আহমেদ উন্নত জীবন ও জীবিকা ত্যাগিদে মার্কিণ যুক্তরাষ্টে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি হোটেল রেস্টুরেন্ট এর কাজের ফাকে ফাকে সামাজিক কাজে নিয়োজিত হন ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্টের নিউইর্য়কে তার নিজ জন্মস্থান সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার খুব অল্প সংখ্যক হাতে গোনা কয়েকজন প্রবাসিদের নিয়ে বিশ্বনাথ প্রবাসী কল্যাণ সমিতি যুক্তরাষ্ট গঠন করেন। প্রতিষ্ঠা কালীন সময় বিশ্বনাথ প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বনাথ প্রবাসীদের মধ্যে সার্বিক সহযোগিতার মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্ক স্থাপনে মাধ্যমে সামাজিক কর্মকান্ড শুরু করেন পরবর্তী সময়ে সমিতির ২বার সাধারণ সম্পাদক ও ৩ বার সহ-সভাপতি এবং বর্তমান নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। মনির আহমদ সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্বনাথ প্রবাসিদের একত্রিকরণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একযোগে কাজ করেন। মনির আহমেদ আব্দুল মনাফ প্যানেল নির্বাচিত হওয়ার পর নির্বাচিত নির্বচিত পরিষদের সকল সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহন এর মাধ্যমে বিশ্বনাথ প্রবাসী কল্যাণ সমিতিরি যুক্তরাষ্টে নিউইর্য়ক স্টেষ্ট কতৃক রেজিষ্টেশন আপগ্রেড ব্যাংক একাউন্ট চালু করে প্রবাসীদের জন্য নিজস্ব কবর স্থান ক্রয়, বাংলাদেশে বিশ্বনাথ উপজেলা, ৮ ইউনিয়নে হত দরিদ্র দের রিক্সা প্রদান করা হয়। বর্তমান নির্বাচিত পরিষদ কর্তৃক এ সকল জনহিতকর কাজ সম্পূর্ণ করার সুনাম প্রবাসিদের ভুয়মি প্রসংশা অর্জন করেন। মনির আহমেদ সামাজিক কাজের পাশাপাশি তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্টান মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি নিউইর্য়ক সিটি আস্সাফা ইসলামিক সেন্টারের একাদিকবার ট্রেজারের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন মসজিদের আজিবন সদস্য। আসসাফা ইসলামী সেন্টার নিউ ইয়ার্ক এর স্ব-পরিবারে আজীবন সদস্য। এছাড় পার্ক চেষ্টার জামে মসজিদ ও বাংলাবাজার জামে মসজিদ নিউইর্য়ক এর আজীবন সদস্য। নিজ গ্রাম ডি.টি.এম.এস বেসিক ইসলামিক সেন্টার এর আজিবন সদস্য বাংলাদেশে তার নিজ এলাকা বিশ্বনাথ জনপরিষদ বিশ্বনাথ সংঘের অন্যতম সদস্য। বাংলাদেশ মানবাধিকার এর আজীবন সদস্য প্রবাসে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ নর্থএমেরিকা জালালাবাদ এসোসিয়েশন নর্থএমেরিকা সহ বহু সামাজিক সংঘঠনের সাথে জড়িত।
মনির আহমেদ সামাজিক কর্ম কান্ডের অবদান এর জন্য বাংলাদেশ জাতীয় যুব উন্নয়ন পরিষদ সিলেট কর্তৃক একাদিক বার সম্মাননা স্বারক স্বর্ণ পাদক লাভ করেন, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাগরণ উচ্চ বিদ্যালয় অগ্রগামী সমাজ কল্যাণ যুব সংঘ ও সাধুগ্রাম সমাজ কল্যাণ সংঘ সহ বহু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংঘঠন কর্তৃক সমাজ সেবায় অবদানে স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা স্বারক এ ভূষিত হয়। মনির আহমেদ দেশে হত দরিদ্র অবহেলিত মানুষের সেবার জন্য বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুপেরণা নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন দেখান। তরুণ এই সমাজ কর্মীর দীর্ঘায়ূ ও উজ্জল ভবিষৎ কামনা করি।