ঘামাচি দূর করার ৭ উপায়
তরুণ কন্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত : ১২:২৬ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার

এই উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘামাচি, র্যাশ, চুলকানির সমস্যা খুবই স্বাভাবিক। তবে চিন্তার কিছু নেই। জেনে নিন এমন ৭টি ঘরোয়া উপায়, যেগুলির সাহায্যে অনায়াসেই ঘামাচি সারিয়ে ফেলা যায়।
১. আলুর রস ঘামাচির সমস্যার সমাধানে একেবারে অব্যর্থ। পাতলা পাতলা করে আলু কেটে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে মিনিট পাঁচেক ঘষুন। এভাবে দিনে অন্তত ২ বার ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেই সঙ্গে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।
২. অ্যালোভেরার রস প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে। ত্বকে ব্যাকটেরিয়া-ঘটিত র্যাশ, চুলকানিতে অ্যালোভেরার রস অত্যন্ত কার্যকরী। ঘামাচির সমস্যায় অ্যালোভেরা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে তার রস ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে দিন। এভাবে দিনে অন্তত ২ বার ত্বকে অ্যালোভেরার রস মাখতে পারলে ঘামাচি দ্রুত সেরে যাবে।
৩. ঘামাচি সারাতে ছোলার ডাল বাটা খুব কাজের। সারা রাত ছোলার ডাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভালো করে বেটে নিন। এবার ওই ডাল বাটা ঘামাচির ওপর লাগিয়ে মিনিট পনেরো রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেই সঙ্গে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।
৪. মসুর ডাল বাটার সঙ্গে কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রাখলেও ঘামাচি দ্রুত সেরে যাবে। কমে যাবে চুলকানিও।
৫. ঘামাচি, র্যাশ, চুলকানির সমস্যায় মুলতানি মাটি ব্যবহার করে দেখুন উপকার পাবেন। ৪ চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে কয়েক ১ চামচ গোলাপজল আর আধা কাপ পানি দিয়ে প্রথমে পেস্ট তৈরি করুন। এবার ওই পেস্ট ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দিনে অন্তত ২ বার ত্বকের যত্ন নিতে পারলে ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেই সঙ্গে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।
৬. বেসন, গোলাপজল আর মধু এই ৩ উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ঘষে তুলে ফেলুন। দেখবেন, ঘামাচি সহজেই কমে যাবে। সেই সঙ্গে কমে যাবে অস্বস্তিকর চুলকানিও।
৭. ঘামাচির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কাজে লাগাতে পারেন বরফ বা আইস কিউব। পাতলা সুতির কাপড়ে ৩-৪ টুকরো বরফ নিয়ে একসঙ্গে বেঁধে ফেলুন। এবার ওই বরফের পুঁটলি আলতো করে ত্বকের ঘামাচি আক্রান্ত অংশে বুলিয়ে নিন বা একটু একটু করে চেপে ধরুন। দিনে অন্তত ৩-৪ বার এমন করতে পারলে ঘামাচির সমস্যায় ফল পাবেন ম্যাজিকের মতো।