মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪   কার্তিক ৭ ১৪৩১   ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

থাইরয়েড বৃদ্ধিতে ক্যান্সারের আশঙ্কা   

অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু

প্রকাশিত : ০৩:২৭ পিএম, ২৪ জুন ২০১৯ সোমবার

প্রাণঘাতী রোগ ক্যান্সার নীরবে আক্রমণ করে। থাইরয়েড ক্যান্সার তেমনি একটি সমস্যা। বর্তমানে প্রায় ঘরে থাইরয়েড সমস্যার রোগী আছে। শুধু থাইরয়েডের বৃদ্ধিতেই এখন এই সমস্যা সীমাবদ্ধ নেই। এটি প্রাণঘাতী ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে।

থাইরয়েড গ্রন্থির ক্যান্সারের লক্ষণ আর রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো কী কী, তা জেনে নিতে হবে। অন্যথায় সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে।

থাইরয়েড ক্যান্সার হয় থাইরয়েড গ্ল্যান্ডে। থাইরয়েড গ্ল্যান্ড স্বরগ্রন্থির নিচে থাকে। এই গ্ল্যান্ড খাবার থেকে আয়োডিন নিয়ে শরীরে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে।

যখন থাইরয়েড গ্রন্থির কোষ সাধারণ অবস্থার থেকে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে ও অন্যান্য অঙ্গের  মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে বলা হয় থাইরয়েড ক্যান্সার। প্রাথমিক পর্যায়ে থাইরয়েড ক্যান্সারের লক্ষণ সেভাবে দেখা যায় না। রুটিন চেকআপ করলে অনেক সময় ক্যান্সার ধরা পড়ে। যখন টিউমার বড় আকারের হয়, তখন বোঝা যায়। এ ছাড়া গলায় হঠাৎ কোনো মাংসপিণ্ড দেখা দেওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, গলার আওয়াজ বসে যাওয়া, খেতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।

২৫-৫০ বছর বয়সীদের এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। পুরুষের চাইতে নারীদের এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে। পরিবারে কারও থাকলে তার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ক্রনিক হেপাটাইটিস-সি থেকে থাইরয়েড ক্যান্সারের আশঙ্কা থাকে।

গলায় টিউমার বা ছোট মাংসপিণ্ড দেখা গেলে উপেক্ষা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ভালো থাকুন।


লেখক: অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা