ঈদের পরে যেসব খাবারে স্বস্তি পাবেন
প্রকাশিত : ০৪:৫০ পিএম, ১১ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার

রমজান মাস শেষে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ একমাস রোজা রাখার পর ভোজন রসিক মানুষেরা খাওয়া-দাওয়ায় সংযম এনেছিলেন। কিন্তু ঈদের দিন একের পর এক মুখরোচক খাবার খেয়ে চলেছেন তারা।
এই গরমে দীর্ঘ একমাস রোজা থাকার পর এমন ভুরিভোজ আপনার শরীরে ক্ষতির কারণ হতে পারে। বদহজম,পেটে অস্বস্তির কারণে ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে যেতে পারে। তবে একটু সচেতনতা আর নিয়ন্ত্রণ আপনাকে রাখতে পারে শারীরিক ও মানুসিকভাবে সুস্থ।
পুষ্টির চাহিদা বয়স, ওজন, উচ্চতা, লিঙ্গ এবং রোগভেদে পরিবর্তন হয়। তাই খাবার-দাবারের ব্যাপারে প্রত্যেকের সতর্ক থাকা উচিৎ। আমাদের শারীরিক পুষ্টি চাহিদা অন্যান্য দিনের মতো এই দিনও একইরকম থাকবে।
খাবারের মেন্যুতে মাছ
ঈদে মাংসের প্রতি এক ধরনের আসক্তি আমাদের রয়েছেই। কিন্তু বেশি পরিমাণে মাংস আপনার শরীরে ক্ষতির অন্যতম কারণ হতে পারে। তিনটি খাবার সুন্দর করে তৈরি করলে পুষ্টি, তৃপ্তি, ক্যালরি- সবই পূরণ করা সম্ভব। যা আপনাকে মাংসের বিপরীতে শরীরকে ভালো রাখবে। যেমন মাছের চপ বা কাটলেট বা মাছের দোলমা বা মাছের কোরমা। গ্রিল ফিস বা মাছের কাবাব সুস্বাদু করে তৈরি করলে রসনা তৃপ্তির পাশাপাশি পুষ্টির জোগান হয়।
সবুজ সালাদ ও টকদই
সাধারণত আত্মীয়-স্বজন কিংবা অতিথি অ্যাপায়নে ঈদের সময়টাতে সাদা পোলাও বা খিচুড়ি খাবারের মেন্যুতে থাকে। যেগুলো রোজার পরে খাবারের তালিকায় বেশ ক্ষতিকর। তাই বিরিয়ানি বা খিচুড়ি খাবারের তালিকায় থাকলেও সবুজ সালাদ বা টকদই ও সবজির সালাদ খাবারের মেন্যুতে রাখা যেতে পারে, যা ভিটামিনস ও মিনারেলসের যোগান দেয়।
রুটি ও সাদা ভাত
শরীরের স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে পেতে তেল জাতীয় খাবারের বিপরীতে রুটি বা সাদা ভাতের সঙ্গে সবজি জাতীয় জিনিস বেশি বেশি খান। সবজি জাতীয় খাবার খেলে আপনার শরীরের ভিটামিনের গুণাগুণ এবং ক্যালরি বৃদ্ধি করবে। তবে ভিন্নধর্মী খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে চাইনিজ ফুডও খেতে পারেন। কেননা এই জাতীয় খাবারে তেল মসলা কম থাকে।
ফিরনি বা পায়েশ
ফিরনি বা পায়েস হতে পারে ঈদের খাবারে খুব ভালো মেন্যু। দুধ, চাল ও গুড় দিয়ে তৈরি ফিরনি থেকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেলস পাওয়া যায়। এছাড়া তেলছাড়া পাতলা পরোটা আর সবজিও হতে পারে ভালো মেন্যু। মনে রাখবেন, সারা দিন অনেক খাবার খেলেও মেন্যুতে সবজি কম থাকে। তাই সকালেই সবজি খেলে সবজির দৈনিক যে চাহিদা তার কিছুটা পূরণ হবে।
পানি বা তরল জাতীয় খাবার
ঈদে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করলে অবশ্যই তরলজাতীয় খাবার খাবেন। শরবত,সাদা পানি, স্যালাইন কিংবা চিনি-লেবুর শরবত খেতে পারেন। পর্যান্ত খাবার গ্রহণ কিংবা অতিরিক্ত হাঁটাচলার কারণে আপনার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। যে কারণে পানি শুন্যতা দেখা দিয়ে অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। তাই এ ধরনের খাবার খেলে ঈদের সময় আপনি বেশ স্বস্তিতে থাকবেন।