রোববার   ০৯ মার্চ ২০২৫   ফাল্গুন ২৫ ১৪৩১   ০৯ রমজান ১৪৪৬

আল কুরআন বিরোধী সংবিধানের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত : ০৯:২৭ পিএম, ৬ মার্চ ২০২৫ বৃহস্পতিবার

ইসলামী সমাজের আমীর, হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর নির্দেশে মানব জাতির হেদায়েত এবং সমাজ ও রাষ্ট্রে আল কুরআন বিরোধী সংবিধানের অধীন থেকে মানব জাতিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে লোকদেরকে আল কুরআন বিরোধী সংবিধান পরিত্যাগ করে আল কুরআনকে সংবিধান হিসেবে গ্রহণের দাওয়াত দিয়েছিলেন।

 

লোকদের প্রতি তাঁর দাওয়াত ছিল- "ওহে লোক সকল! তোমরা সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহকেই একমাত্র সার্বভৌত্বের মালিক, আইনদাতা-বিধানদাতা ও নিরংকুশ শাসনকর্তা মেনে তাঁর প্রতি ঈমান আনো এবং তাঁকেই একমাত্র দাসত্ব, আনুগত্য ও উপাসনা পাওয়ার অধিকারী সত্তা অর্থাৎ ইলাহ গ্রহণ কর। আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল, তোমরা আমাকে আল্লাহর রাসূল মেনে জীবনের সকল ক্ষেত্রে আমার অনুসরণ ও অনুকরণ (আনুগত্য) কর"। এই দাওয়াত যারা গ্রহণ করেছিলেন, তাঁরাই রাসূল (সাঃ) এর আনুগত্যের অধীনে থেকে দাওয়াতী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।

 

এভাবে দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ঈমানের সর্বোচ্চ পরীক্ষা দিয়ে যখন আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নেতৃত্বে একদল ঈমানদার সৎকর্মশীল লোক গঠন হলো, তখন মদীনায় অনুকূল পরিবেশ তৈরী করে সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক আল্লাহ তাঁর রাসূল (সাঃ) কে রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের আসনে বসালেন। আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বে আসার পর অন্য ধর্মের লোকদের জন্য ধর্ম পালনের সুযোগ রেখেই মহান রব্বের নির্দেশে পর্যায়ক্রমে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল কুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সমাজ ও রাষ্টে আল কুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার এটাই আল্লাহর নির্দেশিত ও তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত একমাত্র পদ্ধতি।

 

আজ ০৬ মার্চ ২০২৫ ঈসায়ী; (বৃহস্পতিবার), দুপুর ২ ঘটিকায় ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন কুশিয়ারা খানবাড়ী বালুর মাঠে 'ইসলামী সমাজ' এর উদ্যোগে- "সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে আল কুরআন বিরোধী সংবিধানের অধীন থেকে মুক্তি লাভের এবং আল কুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার উপায় বিষয়ে বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন, গণআন্দোলন, সশস্ত্র লড়াই এবং সেনাবাহিনীকে উস্কিয়ে ক্ষমতা দখল- এসবের কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ নয়।

 

তিনি আরো বলেন, ইসলামী সমাজ একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির লক্ষ্যেই সমাজ ও রাষ্ট্রে আল-কুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর নির্দেশিত ও তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতেই নিজেদের সময় ও অর্থ কুরবানীর মাধ্যমে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটাই কল্যাণ ও মুক্তির পথ। দল-মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি আল কুরআন বিরোধী সংবিধানের অধীন থেকে মুক্তি লাভের লক্ষ্যে ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল কুরআনের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার ঈমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালনের আন্তরিক আহবান জানান।

 

'ইসলামী সমাজ' এর কেন্দ্রীয় নেতা, জনাব মোঃ আমীর হোসাইন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় নেতা, সোলায়মান কবীর, মোঃ নুরুদ্দিন, আজমুল মোঃ সাইফুল ইসলাম মিঠু, ইসমাঈল দাড়িয়া, আবু জাফর মোঃ সালেহ্, সৈয়দ মুহাম্মদ কবীর এবং বিভিন্ন জেলা ও থানা পর্যায়ের দায়িত্বশীলগণ।