বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১   ০৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

গাজীপুরের বাঘের বাজারে খাজনা আদায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

নজরুল ইসলাম,গাজীপুর

প্রকাশিত : ০৭:৪৬ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার

গাজীপুর সদর উপজেলায়  হাট বাজারের খাজনা উত্তোলন নিয়ে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা।

নির্ধারিত বাজেরের দিন ছাড়া খাজনা আদায়ের নিয়ম নিয়ম না থাকলেও প্রতিদিনই আদায় করা হচ্ছে খাজনা।
বর্তমান বাজারে দ্রব‍্য মূল‍্যের ঊর্ধ্বমুখী কারণে অতিরিক্ত খাজনা এবং ভিট ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। একেক জনের কাছ থেকে একেক রকম খাজনা নিচ্ছেন ইজারাদার। কিন্তু খাজনা আদায়ের দিচ্ছেন না কোন রশিদ।এছাড়াও সড়ক ও জনপদের জায়গায় এবং মহা সড়কের উপড় স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানপাট বসিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
গাজীপুর সদর উপজেলায় সরাকার কর্তৃক ইজারা কৃত হাট বাজার আছে মোট আটটি।যাহার মধ্যে দুইটি বাজার আছে যা ঢাকা ময়মনসিংহ মহা সড়ক কেন্দ্রীক এবং সড়ক ও জনপদের জায়গায়।আর তাই এই দুইটি বাজার ইজারার ডাক নেয়ার চাহিদাও থাকে ব্যাপক।
অভিযোগ রয়েছে অতিরিক্ত মূল‍্যে বাজার ইজারা নিয়ে আদায় করা হয় লাগামহীন খাজনা।তার মধ‍্যে অন‍্যতম একটি বাঘের বাজার,চলতি অর্থ বছরে এই বাজারের ইজারার ভিত্তি মূল‍্য ছিল ১১,৪৮,৩৩৪ টাকা। কিন্তু পাল্টাপাল্টি ডাকে এই বাজার ৩২,৫০,০০০ টাকা, যা ভিত্তি মূল‍্যের তিন গুণ।বাজারটি  ইজারা পেয়েছেন স্থানীয় আজিজুল হক রতন।
সরেজমিন ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের বাঘের বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, সরকার নির্ধারিত খাজনা থেকে কয়েকগুন বেশি টাকা তোলা হচ্ছে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়িদের কাছ থেকে।ইজারাদারের ইচ্ছামতো সড়ক ও জনপদের জায়গায় এবং মহা সড়কের দুই পাশে বিভিন্ন প্রকার দোকানপাট বসিয়ে, আদায় করছে মোটা অংকের খাজনা।মহা সড়কের পাশে এক একটি চৌকি ভ্যানের দোকান বসাতে প্রথমেই নেয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকা। এ সকল চৌকি ভ্যান থেকে প্রতিদিন নেওয়া হচ্ছে এক থেকে তিনশত টাকা করে।ইজারাদার প্রতিটি দোকান থেকে খাজনা আদায় করলেও দিচ্ছেন না কোন প্রকার আদায়ের রশিদ। পুরো বাজারে কোথাও নেই সরকার নির্ধারিত খাজনা আদায়ের কোন প্রকার তালিকা। দূরদুরান্ত থেকে আসা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা হচ্ছে অধিক টাকা। ফলে মহা সড়ক কেন্দ্রীক গড়ে উঠা এই বাজার থেকে প্রতি বছর বিপুল অর্থ বাগিয়ে নিচ্ছেন ইজারাদর, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতা ও ছোট ব্যবসায়ীরা।

নিয়ম বহির্ভূত ভাবে খাজনা আদায়ের বিষয়ে ইজারাদার আজিজুল হক রতন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করেন।তবে বলেন সপ্তাহে আমরা সাতদিনিই খাজনা আদায় করছি,এছাড়া বাজারে কোথাও খাজার কোন তালিকা দেয়া হয়নি। তবে দোকানের আকার অনুযায়ী খাজনার টাকা আদায় করা হয়।