গাজীপুরে বাগান থেকে পাওয়া যাচ্ছে দার্জিলিং ও চায়না ম্যান্ডারিন
নজরুল ইসলাম,গাজীপুর
প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
বাগানে প্রবেশ করতে হয় পায়ে হাঁটা পথে। বাগানের প্রবেশ দারে দারালেই চোখের পরে হরেক রকমের ফলের গাছ।একটু আগালেই দেখাযায় দুই পাশে গাছ জুড়ে রয়েছে রসে টইটুম্বুর পাকা কমলার থোক। রং ও আকার দেখে গাছ থেকে পছন্দ মতো কমলা তুলে নিতে পারে ক্রেতা। এ চিত্র গাজীপুরের শ্রীপুরের সাতখামাইর পশ্চিমপাড়া এলাকায়। দার্জিলিং জাতের বড় আকারের রঙিন কমলাগুলো এখন বিক্রি করা শেষ। সরাসরি বাগান থেকে নেওয়ায় বাজারের তুলনায় দামও কিছুটা কমে কিন্তে পেরেছেন ক্রেতারা। এখন বাগানে আছে চায়না ম্যান্ডারিন জাতের কমলা।যা খাওয়া যাবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে।প্রতি দিনিই ক্রেতা দর্শনার্থীরা যাচ্ছেন এই কমলা বাগানে।
২০২১ সালে মো. অলিউল্লাহ বাইজিদ, মো. ফারুক আহমেদ, মো. আব্দুল মতিন ও মো. আইনুল হক এই চারজন মিলে বাগানটি শুরু করেন। এর নাম রাখেন তাওয়াক্কালনা ফ্রুট এন্ড এগ্রো কমলা বাগান। কমলা ছাড়াও বাগানে পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতের আম, বল সুন্দরী বরই, সফেদা, জাম্বুরা ও ড্রাগন ফল।
কমলা বাগানের সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা বাদল মিয়ার ছেলে মো. সবুজ মিয়া। তিনি বলেন, বাগান থেকে দার্জিলিং জাতের কমলা বিক্রি করা শেষ হয়েছে। গাছ থেকে নিজ হাতে তুলে প্রতি কেজি কমলা ক্রেতারা কিনতে পেরেছেন ৩০০ টাকা দরে।
তিনি আরও বলেন, তাদের বাগানে ১০০টি দার্জিলিং ও ৫০টি চায়না ম্যান্ডারিন কমলা গাছের চারা আছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ১০০ শতাংশ গাছে আশানুরূপ ফলন এসেছে। একেকটি দার্জিলিং জাতের কমলার ওজন ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম।
সবুজ মিয়া জানান, চারজন উদ্যোক্তা মিলে ২০২১ সালে ৮ বিঘা জায়গায় ১০ বছরের চুক্তিতে ভাড়া নেন। এরপর সেখানে দেড় বিঘা এলাকায় দুই জাতের কমলা চারা রোপণ করেন। মোট জমির বাকি অংশে বড়ই, আম, সফেদা , জাম্বুরা ও ড্রাগন ফ্রুট চাষ করেন। আম চাষ করা হচ্ছে আল্ট্র ডেনসিটি পদ্ধতিতে। সেই সাথে বাগানের ভিতরে বিভিন্ন প্রজাতির শাক সবজির চাষও করা হচ্ছে। নাটোর থেকে উন্নত জাতের কমলার চারা এনে বাগানে রোপণ করেছেন তারা।
কমলা বাগানের তত্ত্বাবধায়ক সবুজ মিয়া বলেন, বিদেশ থেকে আমদানি করা কমলার চেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে নিজ হাতে বাগান থেকে তুলে কমলা কেনার এই পদ্ধতি। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই বাগানে এসে কমলা কিনে নিচ্ছেন। এসব কমলা বাজারের অন্যান্য কমলার তুলনায় স্বাদ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।