প্রাণনাশের হুমকি মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত : ০৪:৪৬ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার
মুন্সীগঞ্জ পৌর ৬ নং ওয়ার্ডের হত্যা চেষ্টা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বাবদ থানা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । অভিযোগ নিন্মরুপ যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মোঃ আকাশ (২৫), পিতা- মো খালেক, সাং- রনছ সরকারবাড়ী, ৬নং ওয়ার্ড, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা, থানা ও জেলা- মুন্সীগঞ্জ।
থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে বিবাদী ১। আনিছ (৩৮), পিতা- আলাল তালুকদার ২। শাহবিয়া (২০) পিতা- মজনু মিজি, ৩। নিরর তালুকদার (২৪), পিতা- নাজির তালুকদার, ৪। শান্ত (১২), পিতা- করিম, ৫। নাহিদ (২৩), পিতা- আলমগীর, সর্ব সাং- ছোট কাটাখালী, ৬নং ওয়ার্ড মুন্সীগে পৌরসভা, থানা ও জেলা- মুন্সীগঞ্জ অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি একজন টাইলস মিস্ত্রি এবং মুন্সীগঞ্জ থানাধীন কাটাখালী অবস্থিত মুন্সীগঞ্জ কলেজের পাশে। নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে টাইলসের কাজ করিতেছি। অদ্য ইং ২১/১১/২০২৪ তারিখ দুপুর অনুমানিক ০১;০৩ ঘটিকার সময় আমি মুন্সীগঞ্জ থানাধীন কাটাখালী অবস্থিত মুন্সীগঞ্জ কলেজের পাশের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে টাইলসের কাজ করাকালীন সময়ে ২নং বিবাদী আমাকে ডাকিয়া কলেজের সামনে একটি মাঠে নিয়ে গেলে সেখানে দেখি উল্লেখিত বিবাদীরা সহ অজ্ঞাতনামা আরও বিবাদী পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক কাঠের দাসা, লোহার রড, হকিষ্টিক, এসএস পাইপ সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়া সজ্জিত ছিল। আমি কিন্তু বুঝে উঠার আগেই ১নং বিবাদীর হুকুমে অন্যান্য বিবাদীরা আমাকে এলোপাথারি মারধর করা শুরু করে। ৩-৫নং বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা কাঠের দাসা ও হকিষ্টিক দিয়া আমার হাতে পায়ে পিঠে কোমড়ে এলোপাথারি বাইরাইয়া রক্তজমাট বাধা নীলাফোলা জখম করে।
আমাকে ধাক্কা দিয়া মাটিতে ফেলিয়া ২নং বিবাদী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া বারি মারিলে আমি সরিয়া গেলে উক্ত বারি আমার ডান পায়ের হাটুর নিচে লাগিয়া গুরুতর ফাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমি মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় ১ ও ২নং বিবাদীরা তাদের হাতে থাকা হকিষ্টিক ও লোহার এস এস পাইপ দিয়া আমার কোমড়ের নিচে ও দুই পায়ে এলোপাথারি বাইরাইয়া রক্তজমাট বাধা নীলাফোলা জখম করে। উল্লেখিত বিবাদীরা সকলে মিলে একযোগে তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র দিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি বাইরাইয়া নীলাফোলা জখম করে।
মারধরের মধ্যে আমার প্যান্টের ডান পকেটে থাকা কাজের সাপ্তাহিক বিল বাবদ থাকা নগদ ৯,৫০০/- টাকা ২নং বিবাদী নিয়া যায়। আমার বাম হাতের আঙ্গুলে থাকা আমার বিবাহের সময় পাওয়া ১০ আনি ওজনের স্বর্ণের আংটি যার মূল্য অনুমান ৭৮,০০০/- টাকা ১নং বিবাদী নিয়া যায়। আমার প্যান্টের বাম পকেটে থাকা আমার ব্যবহৃত Samsung A50S এনড্রয়েড মোবাইল ফোন যার মূল্য অনুমান ২৩,০০০/- টাকা ৫নং বিবাদী নিয়া যায়। আমি ডাক চিৎকার করলে আমার কাজের সাইডের লোকজন সহ আশেপাশের।
লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাকে ভবিষ্যতে সুযোগ মতো পাইলে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলিয়া ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। আমার কাজের সাইডের লোকজন আমাকে উদ্ধার করিয়া মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়া আসিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ডান পায়ের কাটা স্থানে সেলাই ব্যান্ডেজ করে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল। । অতএব, বর্ণিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে জনাবের সু-মর্জি হয়