বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪   পৌষ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রসেনজিতের ছায়াসঙ্গী রাম সিং, মাসে কত লাখ টাকা বেতন জানেন

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত : ০২:৫৩ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার

টলিউডে তিনি ইন্ডাস্ট্রি নামেই পরিচিত। একসময় বাংলা সিনেমার দায়ভার নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন। যার অভিনয়ে মুগ্ধ গোটা টলিউডসহ বলিউডও। সেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ই থাকেন এই ব্যক্তির নজরবন্দিতে। 

তার চোখ পেরিয়ে বাইরে এক কদমও রাখেন না টলিউডের সুপারস্টার। নাম রাম সিং। যিনি বুম্বাদার ছায়াসঙ্গী হয়েই কাটিয়ে দিলেন জীবনের বেশ কয়েকটা বছর। প্রসেনজিৎ-এর নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকে তার কাঁধেই।

দেশ থেকে বিদেশ প্রসেনজিতের সঙ্গে ছায়ার মতো সব জায়গায় দেখা যায় রাম সিংকে। টলিউডে দারুণ জনপ্রিয় এই বডিগার্ড। প্রসেনজিৎকে স্যারজি বলে ডাকেন তিনি। সবসময় হাজির থাকেন স্যারের সঙ্গে। 

প্রসেনজিতের ছায়াসঙ্গী রাম সিং বিগত ১৬ বছর ধরে কাজ করছেন বুম্বাদার সঙ্গে। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতা এবং ১১৫ কেজির রাম সিং-কে দেখে এমনিতেই শত্রুরা দূরে থাকেন। 

শুরুর দিকে দুই বছর দেবের সঙ্গে কাজ করলেও দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তিনি রয়েছেন বুম্বাদার সঙ্গে। যে কারণে নায়কের সঙ্গে তার সম্পর্ক একেবারে পরিবারের মতো। 

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আসার আগে থেকেই তিনি বাউন্সারের কাজ করতেন। উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাসিন্দা রাম সিং, ১২ বছর বয়সে কলকাতায় আসেন বাবার হাত ধরে। পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ শুরু করেন৷ 

স্বাস্থ্য ভালো থাকার সুবাদে অনেকে উপদেশ দেন বাউন্সারের কাজের জন্য। টুকটাক ইভেন্টে কাজ করতে করতেই পরিচয় হয় দেবের সঙ্গে। দেবের পরই রাম সিং প্রসেনজিৎ-এর সঙ্গে কাজ করা শুরু করেন। 

প্রসেনজিৎ-এর মতো তার ব্যস্ততাও তুঙ্গে। স্যারজি কোথায় কখন যাবেন তার সব খবরই থাকে রাম সিং-এর কাছে। মাঝে মাঝে বুম্বাদা ভুলে গেলেও, ভোলেন না রাম সিং।

প্রসেনজিৎ-এর পার্সোনাল গাড়িতেই সবসময় থাকেন এই দেহরক্ষী। প্রসেনজিৎ কখন বাড়ি থেকে বের হন, কখন বাড়িতে ফেরেন সব খবরই রাখেন তিনি। 

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রসেনজিতের বডিগার্ড হিসেবে রাম প্রতিবছর ৮০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পান। অর্থাৎ মাসে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা হল তার বেতন। 

বুম্বাদাও রাম সিংকে বেশ ভরসা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত রামের এক পুত্র সন্তান রয়েছেন। কিন্তু তেমনভাবে পরিবারকে সময় দিতে বাটানগর যেতে পারেন না তিনি। অধিকাংশ সময় কেটে যায় নায়কের সঙ্গেই।